র্যাবকে পঁচা মাছের সঙ্গে তুলনাঃহান্নান শাহ্
এই দেশ এই সময়,ঢাকাঃ র্যাবকে পঁচা মাছের সঙ্গে তুলনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার অব. আ স ম হান্নান শাহ্ বলেছেন, “পুকুরে একটা পঁচামাছ থাকলে যেমন বাকি সব মাছের পঁচন ধরে, তেমনি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত হয়ে র্যা বএখন পঁচা মাছের মতো হয়ে পড়েছে। তাদের এখন যে বাহিনীতেই স্থানান্তর করা হোক না কেন সেখানেই পঁচন ধরতে পারে। তাই র্যাবকে পুরো বিলুপ্ত করতে হবে।”
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতা ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত ‘শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে’ যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শনিবার যে বক্তব্য দিয়েছেন এর সমালোচনা করেন আ স ম হান্নান শাহ্। আশরাফকে সাবধান করে তিনি বলেন, “আপনার বক্তব্য উস্কানিমূলক, তাই দেশে ভবিষ্যতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে সব দায় আপনাকেই নিতে হবে।”
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের সঙ্গে ২০ জন র্যা ব ও তিনজন পুলিশ সদস্য জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সরকার এই ঘটনার বিচার কার্যক্রম এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”
‘র্যাব বিলুপ্ত করা যাবে না’ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমি বলবো র্যাব বিলুপ্ত করা পাঁচ মিনিটের ব্যাপার।”
‘বৈধভাবে আওয়ামী লীগকে কেউ ক্ষমতাচুত্য করতে পারবে না’ আশরাফের এমন বক্তব্যে হান্নান শাহ্ বলেন, “আপনারাই তো অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছেন। আপনাদের বৈধভাবে কিভাবে নামানো যাবে? তাই বলব অভিলম্বে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন দেন, দেখেন কারা ক্ষমতায় আসে।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ওসমানের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাই বলা যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসব সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িত।”
তিনি আরো বলেন, “তারেক রহমানের ঐতিহাসিক কিছু সত্য কথা বলার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাদের গায়ে জ্বালা শুরু হয়েছে, তারা কুরুচিপূর্ণ কথা বলছেন। তারা পাগল হয়ে পড়েছেন, তাই তাদের হেমায়েতপুরে ভর্তি হওয়া দরকার।”
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- বিএনপি নরসিংদী জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল কবীর খোকন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সারাফাত আলী সফু, ঢাবি’র সাবেক প্রো-ভিসি ড. আ খ ম ইউসুফ হায়দার প্রমুখ।