উলঙ্গ স্ত্রীকে গোটা গ্রাম ঘোরাল স্বামী
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতে এক ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে। ঘটনার দিন দেশটির উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ভিলাই বোরখিদা গ্রামে দশ পুরুষের মিলে এক উপজাতি নারীকে গণধর্ষণ করেন। ধর্ষকদের মধ্যে ওই নারীর নিজের স্বামীও ছিলেন। তারা কেবল ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হননি, ওই নারীকে প্রস্রাব খেতেও বাধ্য করেন। এরপর বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে গোটা গ্রামে ঘোরান হয়।রোববার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।এনডিটিভি জানায়, গত কয়েক মাস আগে জমি সংক্রান্ত এক বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলেন ওই দম্পতি। তখন স্বামী একটি কুড়াল দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করেছিলেন। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। এরপর দশ বছরের পুত্রসন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান।ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার রাতে মামলা নিষ্পত্তির নাম করে স্ত্রীকে নিজ গ্রামে ডেকে পাঠান তার স্বামী। স্বামীর ডাকে সাড়া দিয়ে ছেলেকে নিয়ে শ্বশুড়বাড়িতে যান স্ত্রী। তখন পূর্ব পরিকল্পনা মতোই স্বামী ও তার নয় সঙ্গী মিলে ওই নারীর হাত পা বেঁধে তাকে ভাড়ার ঘরে ফেলে রাখেন। এরপর সবাই মিলে তাকে গণধর্ষণ করেন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে পানির জন্য কাতর মিনতি জানাতে থাকেন নারীটি। তখন নির্যতনকারীদের একজন তার সামনেই প্রস্রাব করে তাকে তা পান করতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এখানেই শেষ নয়। এরপর প্রায় উলঙ্গ অবস্থায় তাকে গোটা গ্রামে ঘোরান হয়।ঘটনার তিন দিন পর বৃহস্পতিবার তার স্বজনরা এসে তাকে ভাড়ারঘর থেকে উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ গণধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত ১০ জনকেই আটক করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে ভিলাই বোরখেদি থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান,‘ ওই নারীর দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী তিনি গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এবং তিন দিন ধরে স্বামীগৃহে বন্দি ছিলেন। আমরা এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।’তবে তার স্বামীটি এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছেন,‘আমি কেবল তাকে একটি চড় মেরেছি এবং লাঠি দিয়ে কয়েকটি বাড়ি দিয়েছিলাম।’
উল্লেখ্য,,সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে যে কটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে এটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছে এনডিটিভি।