ঈদের আগেই আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে
মোঃ জাফর ইকবাল, ঢাকা : ঈদের পর মাঠ গরম করতে চায় বিএনপি।এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীদের তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।এরই মধ্যে সরকার যদি মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনায় না বসেন তাহলে রাজপথে না নামা ছাড়া আরো কোনো উপায় থাকবে না। দলের শীর্ষ নেতারা দলের কর্মীদের এমনই ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছেন।বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কঠোর আন্দোলন শুরু করার যে ঘোষণা দিয়েছেন, তার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে ঈদের আগেই৷ পরে মহাসমাবেশের মধ্যমে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে ঈদের পর৷
৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বেচনের পর থেকেই বিএনপির লাগাতার আন্দোলন শুরু করার কথা ছিল৷ কিন্তু তা হয়নি৷ পরে তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে দল গোছানোর কথা বলে উপজেলা নির্বাচনের পর আন্দোলন শুরুর কথা বলেছিল৷ কিন্তু তাও শেষ পর্যন্ত হয়নি
এরপর, গত মঙ্গলবার, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঈদের পরে কঠোর আন্দোলন শুরু হবে৷ এ জন্য তিনি দলের নেতা-কর্মী এবং দেশবাসীকে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান৷
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু জানিয়েছেন যে, ঈদের পরে বলতে বিএনপ চেয়ারপারসন আসন্ন রোজার ঈদের কথা বুঝিয়েছেন।রোজার ঈদের পর ঢাকায় মহাসমাবেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়া আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন৷
কী ধরণের আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘এবার আন্দোলনে প্রথম কাজ হবে জোটের ১৯ দলকে পুরোপুরি আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা৷ এ জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সনসহ শীর্ষ নেতারা শিগগিরই জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ এছাড়া তৃণমূলের সংগঠন গোছানোর কাজও এই সময়ের মধ্যে শেষ করে আনা হবে৷”
শামসুজ্জামান দুদু জানান, ‘‘পুরো রোজার মাসকে গণসংযোগের কাজে ব্যবহার করা হবে৷ কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত, রাজধানী থেকে উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইফতার মাহফিল থেকে শুরু করে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই গণসংগের কাজ করা হবে৷”
তিনি বলেন, ‘‘ঈদের পরপরই সংলাপ, সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার জন্য সরকারকে একটি সংক্ষিপ্ত সময় বেধে দেয়া হবে৷ আর সরকার তা মেনে না নিলে ঢাকায় মহাসমাবেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়া আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন৷” তাঁর কথায়, ‘‘এই কর্মসূচিতে হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও এবং লংমার্চের মতো কর্মসূচি থাকবে৷”
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সরকার র্যাব পুলিশ এবং প্রশাসন যন্ত্রকে বিরোধী দল দমনে ব্যবহার করছে৷ তবে নানা ঘটনায় তারা বিতর্কিতও হয়ে পড়েছে৷ তাই এবার তাদের তৎপরতা কম থাকবে বলেই মনে করি আমরা৷”
এদিকে সংলাপ নিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বক্তব্যে সমালোচনা করে করেছেন শামসুজ্জামান দুদু৷ রাষ্ট্রপতি জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘‘সংলাপ হবে সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে৷”
দুদু বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি এই মন্তব্য করে দলীয় চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন৷ কিন্তু রাষ্ট্রপতি কোনো দলের হতে পারেন না, তিনি সবার৷”
Posted in: জাতীয়