বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়তে পারে : চলতি মাসে বন্যার আশঙ্কা
এই দেশ এই সময়,ঢাকাঃ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। এটি উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। আজ সোমবারও সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে।সারা দেশের বৈরী আবহাওয়া ও টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। যোগান কম হওয়ায় দাম বেড়েছে কাঁচামালের। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে আগামী ৭-৮ দিন এ বৃষ্টিপাত স্থায়ী হতে পারে। এ সময়ে ঢাকার বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়তে পারে তবে কমতে পারে চট্টগ্রামে। এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে মওসুমি বায়ু প্রবল থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অতি বর্ষণে ইতিমধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রেলপথের বিভিন্ন স্থানে প্রতিকূলতার সৃষ্টি হওয়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। গত রোববার বিকাল ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের সন্দীপে ১৭০ মিলিমিটার। খুলনাতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৬৭ মিলিমিটার। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৩৮ মিমি. পতেঙ্গাতে ১৩৯ মিমি. সীতাকুন্ডে ১৫৭ মিমি. মাদারিপুরে ১৫২ মিমি. ভোলায় ৭২ মিমি. বরিশালে ৯৮ মিমি. হাতিয়ায় ৯৫ মিমি. কুতুবদিয়ায় ১১৩ মিমি. কক্সবাজারে ৪১ মিমি. টেকনাফে ৪৭ মিমি. বৃষ্টিপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, জুন মাসের শেষ সপ্তাহে দেশের উত্তরে (ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায়) ভারি বর্ষণ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে (বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে) পাহাড়ি ঢলের কারণে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।