যৌনমিলনের সময় যেসব কথা বলা উচিত নয়!
লাইফস্টাইল ডেস্কঃ শাররীক মিলন, অনুভুতির এক শৈল্পিক বহিঃপ্রকাশ–যার ফলে দুটি আত্মা কিছুক্ষনের জন্য হলেও একপ্রাণ হয়ে যায়। স্বামী-স্ত্রী পরষ্পরের সবছে কাছে আসার প্রধান মাধ্যম-ই হলো যৌনমিলন। কিন্তু মাঝে মাঝে অসচেতন মনে মুখ দিয়ে কিছু কথা এসে যায় যা জীবনসাথীকে মানসিক কষ্ট দিতে পারে। নিচে সে রকম কিছু বিষয় উল্ল্যেখ করলাম যা মিলনকালে কিংবা মিলনশেষে ভুল করেও বলা উচিত নয়।
*১. ‘জুলি’ যখন আপনার স্ত্রীর নাম প্রেমা কিংবা জেরিন অথবা ‘রাহাত’ যখন আপনার স্বামীর নাম জামিল কিংবা শাকিব:*
আপনি মজা করে অন্য যে কোন সময় যে কোন নামে আপনার স্বামীকে ডাকতে পারেন কিন্তু শাররীক মিলনকালে কখনো নয়!! নারীরা অতিমাত্রায় নামের ব্যপারে সংবেদনশীল তাদের ধারনা মিলনকালে অন্য মেয়ের নাম নেয়ার মানেই হলো আপনি শাররীক অবগাহন করছেন তার কিন্তু মানসিক ধ্যানে অন্য কেউ। অন্যদিকে ছেলেদের আত্মসম্মান-অহমিকা বেশি। মিলনের সময় তার নাম ভুল ডাকা অনেকসময় তাকে মুড অফ্ করে দিতে পারে। সব যুগলের ক্ষেত্রে এ তথ্য সত্য নাও হতে পারে। তবে বেশিরভাগ মানুষই চান যে তার নামটি পুর্ন ভালবাসা মিশিয়ে আদরের সুরে ডাকা হউক।
*২. কেন তোমার লিঙ্গ দেখতে এ রকম? অথবা তোমার যোনী অনেক কালো কিংবা তোমার স্তনের বোটা দেখতে ভাল লাগে না:*
পাগলকে রাস্তায় পাগল বলে নিজ স্থানে দাড়িয়ে থাকতে পারবেন? পাগলকে পাগল বলার আগে দৌড়ের প্রস্তুতি নিন। তেমনটি যে মানষের যেখানে সমস্যা আছে (তা সত্য কিংবা মিথ্যা যাই হোক) সেটা শুনতে তার ভাল লাগেনা। লিঙ্গ হল পুরুষের অহংকার। লিঙ্গ যে রকমই হোকনা কেন সব পুরুষ তার আপন লিঙ্গকে সম্পদ হিসেবে দেখে। তেমনি নারীর শরীরের প্রতিটি অংশ তার সৌন্দর্য্যের বহিঃপ্রকাশ। আপনি যার সাথে সুখের পথ পাড়ি দিচ্ছেন তার কোন সমস্যা কেন খুজবেন? দোষ খোজেঁ মানুষ তার চির শত্রুর। আপনজনের সুনাম করুন। অবুঝ মানুষও সুনাম শুনতে পছন্দ করে আর বিবাহিত মানেইতো পুর্নবয়স্ক।
*৩. আমি কি বাতিটি নিভেয়ে দিব?*
শাররীক মিলন করছেন। মিলনের মাঝা-মাঝি আছেন এমন সময় বললেন লাইট নিভিয়ে দেব? অর্থটা আপনার সঙ্গীর কাছে এমন দাঁড়াতে পারে আপনি তার শরীরের কোন বিশেষ অঙ্গ
পছন্দ করছেন না। অনেকে বলতে পারেন লজ্জার কারনে বাতি নিভানোর কথা আসছে। যদি লজ্জাই থাকবে তাহলেতো শুরুর দিকে বিবস্ত্র করার সময়ও হতে পারতো – মিলনের মাঝখানে
কিংবা অনেকদিনের সম্পর্কে এমন কথা মিলনের মাঝে আসার কথা নয় তা বোকারাও বুঝবে।
*৪. আমাদের ছাদের রঙটা যদি আকাশী হতো? ড্রেসিং টেবিলটি যদি খাটের ডানে না হয়ে পায়ের দিকটায় থাকতো!!*
যৌনমিলন সাংঘাতিক মনোনিবেশকারী কার্যক্রম। যৌনিমলনের সময় সাংসারিক আলোচনা কিংবা অবাঞ্চিত বিষয় উত্থাপনের মানেই হলো আপনি মিলনে আনন্দ পাচ্ছেন না এবং আপনার সঙ্গীর সাথে বোরিং ফিল করছেন – শুধুমাত্র ডিউটি হিসেবে আপনি মিলন করছেন। এই রকম অনুভুতি আপনার সঙ্গীর মুড অফ হয়ে যাবে মুহুর্তের ভিতর। মিলনে নিবিড় মনোনিবেশ করুন। বোরিং লাগলে কিংবা মন না চাইলে যৌন কাম শুরুর আগেই সঙ্গীকে বলুন – সে নিশ্চয় আপনার চাওয়ার মুল্যায়ন করবে।
*৫. ঘড়িটা দেখতো – কয়টা বাজে এখন?*
সময় নিয়ে কি এত্ত ভাবনা? যৌনমিলন করুন যেন কাল বলে কিছু নেই। অতি বেগে ধাবিত হবেন না। প্রতিটি মুহুর্তকে দুইজন মিলে উপভোগ করুন। শাররীক মিলনকে ৯ টা ৫ টার অফিস টাইম বানিয়ে ফেলবেন না। আন্তরিক মিলনে যত বেশি সময় ব্যয় করবেন পরষ্পরের আন্তরিকতা তত বাড়বে – গ্যরান্টি।
*৬. তুমি আমার আগের স্ত্রী/স্বামীর চেয়ে যৌনকামে ভাল:* ঠিক আছে। এ কথাগুলো শুনতে মনে হতে পারে আপনি আপনার সঙ্গীর সুনাম করছেন – কিন্তু বাস্তবে তা নয়। কারো সাথে তুলনা করা “নিষ্ঠুর আত্মসম্মান হননকারী” কাজ। বর্তমানের সাথে আপনার অতীতের তুলনা করার মানেই হলো আপনি তাকে এখনো মন থেকে মুছে ফেলেন নি। কোন মানুষই চায়না তার জীবনসাথীর ভাগ অন্যকে দিতে। একজনের একান্ত আপন থাকুন – সুখ আপনার কদম ছুয়ে যাবে।
যৌনমিলনকালে কিংবা মিলন শেষে হবার সাথে সাথে ঘুমিয়ে যাওয়া একটি বড় অপরাধের পর্যায়ে গন্য। শারীরিক মিলন ঘুমিয়ে যাবার জন্য ভাল সময় নয়। আগে দুই পক্ষের লেনদেন শেষ করুন তারপর ঘুমানোর জন্য যান। জড়িয়ে আদর করা হচ্ছে মিলনের সবছে সুন্দর সমাপ্তি। এটি এক প্রকার থ্যাংকসগিবিং।