বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবিঃ নিখোঁজ ৪
মোঃ জাফর ইকবাল: সোমবার সকালে আকস্মিক ঝড়ের কবলে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ৭২ জন জেলেসহ ১৫টি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলেরা বয়া এবং অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় কিনারে উঠলেও চারজন জেলে এখনও নিঁখোজ রয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে ১৫ জেলে। ট্রলার ডুবির ফলে সাগরে ভেসে গেছে জেলেদের কয়েক লাখ টাকা মূল্যের জাল দড়ি সহ মাছ ধরা সরঞ্জাম।
তেতুল বাড়িয়ার ট্রলার মালিক হারুন ফকির জানান, সকাল ১০ টার দিকে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে আকস্মিক ভাবে ঝড় শুরু হয়। এ সময় ওই স্থানে ৪০ থেকে ৫০টি ট্রলারে প্রায় আড়াই শতাধিক জেলে মাছ ধরছিল এদের মধ্যে তেতুল বাড়িয়ার সেলিম মাতুব্বর, আব্দুল হাই, মো: নুরু সিকদার, হারুন মাঝি, হাসেম গাজী, সিদ্দিক হাওলাদার, জসিম হাওলাদারে ট্রলার নলবুনিয়া গ্রামের বাবুল হাওলাদার, আবুল হাসেম, ছোবহান সিকদার, সোনা মিয়া, কালমগাজী, মস্তফা চৌকিদার, হারুন ফকিরের ট্রলার এবং জয়ালভাংগা গ্রামের খলিল গাজীর ১টি সহ ১৫টি ট্রলারসহ ৭২ জন জেলে ডুবে যায়।
ট্রলার ডুবে নিঁখোজ রয়েছে ৪ জন এরা হলো তেতুল বাড়িয়ার বারেক ঘরামী (২৮), শাহজাহান সিকদার (৩০), নলবুনিয়ার হাসেম গাজী (৪০) ও শাহীন (২৫)। ঝড়ের পর অন্য ট্রলারের সাহায্যে তাদের অনেক খোজাখুজি করেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে তাদের সলিল সমাধি ঘটেছে।
আহত হয়েছে ১৫ জন এরা হল আব্দুল হাই (২৮), আপাং দুলাল(২৮), ফোরকান(৩২), ছোবাহান (৪০), শাহজাহান (২৮), নুর ইসলাম (৩০), সেলিম (৪৫), সেকান্দার (৫০), রাসেল (২৭), সোহাগ (৩৭), মিরাজ (৩০), জাহাঙ্গীর (৩৫), এমাদুল (৩০), আক্কাচ (৬০) ও মন্নান মাঝি (৩৫)।
আহতদেও স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলেরা সাতরিয়ে এবং অন্য ট্রলারের সাহায্যে কিনারে উঠলেও তাদের জাল মাছ এবং মাছ ধরা সরঞ্জাম সহ প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল সাগরে ভেসে গেছে। ট্রলার মালিক হাসেম গাজী জানান, হঠাৎ বইন্যা আমাগো সব শ্যাস কইরা দেছে। আমরা এহন কি হইরা খামু ভাইবা পাই না।
তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী জানান, আহত জেলেদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিঁখোজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।