নক আউট পর্বে ফ্রান্স
স্পোর্টস ডেস্কঃ ‘ই’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বুধবার ইকুয়েডরের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ফ্রান্স। আগের দুই ম্যাচে জয় এবং এ ড্রতে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলতে নাম লিখিয়েছে লা ব্লুজরা।
গ্রুপের অপর ম্যাচে সুইজারল্যান্ড ৩-০ গোলে হন্ডুরাসকে হারিয়ে গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে নক আউট পর্ব নিশ্চিত করেছে। তাই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে হন্ডুরাস ও ইকুয়েডরের।
স্তাদিও দো মারকানা স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলেছে ফ্রান্স। ৭ মিনিটেই ভালো সুযোগ পেয়েছে ফ্রান্স। মুসা সিসোকোর সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান পাসে ইকুয়েডরের বিপদ সীমানায় ঢুকে পড়েছেন আতোয়ান গ্রিজমান। পরে সুযোগ বুঝে বক্সের বাইরে থেকেই শট নিয়েছেন গ্রিজমান। তার শটে বল পোস্ট ঘেঁসে মাঠের বাইরে চলে গেছে। ম্যাচের ২০ মিনিটে সুযোগ এসেছিল ইকুয়েডরের। প্রায় মধ্য মাঠ থেকে বল নিয়ে ফ্রান্সের বিপদ সীমানায় ঢুকে পড়েছেন এনার ভ্যালেন্সিয়া। তার ক্রসে ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিসকে একা পেয়েছেন জেফারসন মন্তেরো। কিন্তু তিনি শট নেয়ার আগেই ঝাপিয়ে পড়ে বল বিপদ মুক্ত করেছেন হুগো লরিস।
৩৮ মিনিটে পল পগবার দুর্দান্ত এক হেড এবার কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেছেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক আলেকজান্ডার দমিনগেজ। ৪১ মিনিটে এনার ভ্যালেন্সিয়া হেড রুখে দিয়েছেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস।
বিরতির পর ভালো একটি সুযোগ হাত ছাড়া হয়েছে ফ্রান্সের। বক্সের ডান প্রান্ত দিয়ে বাকারি সানিয়ার ক্রসে বক্স থেকে বলে পা ছুঁইয়েছেন। তার শটে বল পোস্টে ঢোকার সময় দক্ষতার সঙ্গে গ্রিপবন্দী করেছেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক আলেকজান্ডার দমিনগেজ।
৫০ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছে ইকুয়েডর। ফ্রান্সে বিপদ সীমানায় বল নিয়ে ঢোকার সময় ইকুয়েডরের অধিনায়ক মিকায়েল আরোয়োকে বাধা দিয়েছেন লুকাস দিনিয়া। পরে অফ দ্য বল দিনিয়ার পায়ে পারা দিয়ে চেপে ধরেছেন মিকায়েল আরোয়ো। এ অপরাধের জন্য প্রথমে মিকায়েল আরোয়োকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি নৌমানদিয়েস দৌয়ে। পরে সহকারী রেফারিদের কাছ থেকে মূল ঘটনা শুনে মিকায়েল আরোয়োকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন তিনি। ম্যাচের ৬২ মিনিটে করিম বেনজেমার ক্রসে বক্সের বাইরে থেকে চমৎকার এক শট নিয়েছেন ব্লেইস মাতুইদি। তার শট রুখে দেন দমিনগেজ। ৭৮ মিনিটে বক্স থেকে নেওয়া করিম বেনজামার শটও রুখে দিয়েছেন আলেকজান্ডার দমিনগেজ। ৮৫ মিনিটে বক্সের মধ্য থেকে নেওয়া লইক রেমির দুর্দান্ত এক শট রুখে দিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করছেন আলেকজান্ডার দমিনগেজ। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটেই ফের আক্রমণে গিয়েছে ফ্রান্স। এবারও বক্স থেকে নেয়া অলিভিয়ের জিরুর হেড রুখে দিয়েছেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক। অসাধারণ খেলেছে আলেকজান্ডার দমিনগেজ। তার কল্যাণেই ফ্রান্সের বিপক্ষে হার এড়িয়েছে ইকুয়েডর। তা না হলে ইকুয়েডর ৪ থেকে ৫ গোলে হারলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না।