বিবাহিত জীবনের ৫ টি চরম মিথ্যা
লাইফস্টাইল ডেস্ক ঃবিবাহিত জীবন সম্পর্কে অনেকের নানান রকম অদ্ভুত মজার ধারণা রয়েছে, কারো রয়েছে ভুল ধারণা, আবার অনেকের কাছে কিছু আতঙ্ক বা কষ্টের ধারণাও। মজার বিষয় কি জানেন, বিবাহিত জীবন সম্পর্কে অনেক মিথ্যাই আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যেগুলোকে আমরা সত্যি হিসেবে ধরে নিই। মনে করে যে বিবাহিত জীবন সম্পর্কে সেই কথাগুলোই আসলে ঠিক। তাই আসুন জেনে নিই বিবাহিত জীবনের এমন ৫ টি চরম মিথ্যা, যেগুলো আপনি সত্যি মনে করেন!
১. বড় পরিবার সুখী পরিবার :
এখন পর্যন্ত অনেকেরই ধারণা রয়েছে যে বড় পরিবার মানেই সেই পরিবার অনেক সুখী একটি পরিবার, মায়া মমতা ভালোবাসায় পরিপূর্ণ একটি পরিবার। কিন্তু এই কথা কখনই পুরোপুরি সত্য না। এটি একটি মিথ্যা বা ভ্রান্ত ধারণা। বড় পরিবারে নানা ধরনের ঝামেলা হয়, ঝগড়াঝাটি বেশি হয়, সন্তানদের ভবিষ্যত সুগঠিত থাকে না। এ কারণে বর্তমাণে অনেকই ছোট পরিবারে বিশ্বাসী।
২. স্বামী স্ত্রী কখনই আলাদা থাকতে পারে না :
এটিও একটি মিথ্যা ধারণা বা কথা যা প্রায়ই বিবাহিত জীবন সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে। স্বামী স্ত্রীর মাঝে এমন একটি ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয় যে এরা কেউই কাউকে ছাড়া থাকতে পারে না। কিন্তু এই কথা সত্যি না। কারণ এমন অনেক বিবাহিত সুখের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে যার কারণে স্বামী স্ত্রী আলাদাই থাকে। আবার দেখা যায় যে ক্যারিয়ারের কারণেই দুজন অনেক সময়ে আলাদা থাকেন বা থাকার অভ্যাস গড়ে তোলেন।
৩. যেকোনো সময়ে শারীরিক সম্পর্ক :
অনেকে বলে থাকেন যে বিবাহিত জীবনে যেকোনো সময়ে শারীরিক সম্পর্ক করা সম্ভব। কিন্তু এই বিষয়টিও একটি মিথ্যা ধারণা। কাজ, ইচ্ছা বা ঝগড়ার কারণে প্রায় সময়ই শারীরিক মিলন সম্ভব হয়ে ওঠে না। যত সময় পার হয় দুজনার মধ্যে শারীরিক মিলন ততটা কমে আসে।
৪. ভালো দম্পতিদের ঝগড়া হয় না :
অনেকের ধারণা বিবাহিত জীবনে স্বামী স্ত্রী একসাথে থাকে বলে ভালোবাসা গভীর হয়, ফলে ভালো দম্পতিদের ঝগড়া হয় না। কিন্তু এটিও একটি ভ্রান্ত্র বা মিথ্যা ধারণা। বিভিন্ন কারণেই হোক বিবাহিত জীবনে ঝগড়া কম বেশি হয়ই। এমনও হয় যে অতিরিক্ত ঝগড়ার কারণে বিচ্ছেদও ঘটে প্রচুর। কিন্তু তার মানে এই নয় যে ভালো দম্পতিদের ঝগড়া হয় না।
৫. সন্তানেরা বাবা মায়ের সম্পর্ককে ঠিক করে দিতে পারে :
বিবাহিত জীবনে ঝগড়া হবে এটা স্বাভাবিক। আর এ কারণে যদি কোনো স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক খুব একটা ভালো না থাকে তাহলে বলা হয়ে থাকে যে সন্তানেরা বাবা মায়ের সম্পর্ক ঠিক করে দিতে পারবে। কিন্তু এটিও মিথ্যা একটি ধারণা। কেননা দুটি আলাদা মানসিকতার সত্ত্বাকে সন্তানেরা কখনই পুরোপুরি ঠিক করে দিতে পারে না। তারা কিছুটা কম্প্রোমাইজ করে ঠিকই কিন্তু পুরোপুরি ঠিক হয়ে যায় না। তাই এটা একটি মিথ্যা ধারণা।