র্যাবের কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান
ডেস্ক রিপোর্টঃ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কার্যক্রম বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিরত
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে সোমবার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আধাসামরিক বাহিনী র্যাব বিলুপ্ত করা উচিত বলে মনে করছে সংস্থাটি। সংস্থাটি জানায়, বিলুপ্ত করার আগ পর্যন্ত সেনবাহিনীর সব সদস্যকে র্যাব থেকে প্রত্যাহার করে একে পুরোপুরি বেসামরিক বাহিনীতে রূপান্তর করা উচিত। র্যাব কর্মকর্তারা ক্ষমতাসীন দলের সদস্যের হয়ে ২০১৪ সালের এপ্রিলে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের সঙ্গে জড়িত। এই ঘটনাটি র্যাব কিভাবে ডেথ স্কোয়াড হিসেবে কাজ করছে, তারই আরেকটি উদাহরণ।
এ ব্যাপারে এইচআরডব্লিউর এশীয় অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেছেন, এর আগে বাংলাদেশ সরকার র্যাব পুনর্গঠন ও একে জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে সেই প্রতিশ্রুতি পুরোপুরিই ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি জানান, সরকারের জবাবদিহিতার অভাব র্যাবকে উন্মত্ত আচরণ করার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এখন র্যাবকে আর পুনর্গঠন করার অবস্থা নেই। তাই র্যাবকে যত দ্রুত সম্ভব বিলুপ্ত করা উচিত।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, ২০০৪ সালে বিএনপির হাতে র্যাব গঠিত হয়। এর পর গত দশকে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও র্যাবকে কোনো জবাবদিহিতা ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হয়। গত ১০ বছরে নির্যাতন ও নির্বিচারে গ্রেফতারসহ প্রায় ৮০০ হত্যাকাণ্ডের জন্য র্যাবকে দায়ী করে এইচআরডব্লিউ।