বৃটেন সামনে এগোতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন দুই দেশের সম্পর্ক সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার গণভবনে যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বৈঠকে ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, সামনে এগোতে হবে। আমরা সামনে দেখতে চাই। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করে যেতে চাই।”
শেখ হাসিনার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- ওই বৈঠকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ডেভিড ক্যামেরন হতাশা প্রকাশ করেছে বলে বিএনপি দাবি করছে। এ বিষয়ে তার বক্তব্য কি?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছু আনকন্টেস্টেড ইলেকশন নিয়ে কথা হয়েছে। আলোচনার সময় যেকোন বিষয় উঠতেই পারে। কিন্তু পরে যেগুলো বললেন সেগুলো তো তারা (বিএনপি) বলছেন না।”
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাজ্য সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে।
“আমি মনেকরি বাংলাদশের অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের দু’দেশের সুসম্পর্ক এক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে।”
তিনি বলেন, “সকল শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক আরো দৃঢ় ও স্থায়ী করাই আমাদের সরকারের লক্ষ্য। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে আমাদের সরকার যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি সচেষ্ট।”
গার্ল সামিটে অংশগ্রহণ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর তিন দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে গত বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গার্ল সামিটে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের আমন্ত্রণে গত সোমবার লন্ডন পৌঁছান শেখ হাসিনা।
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই ছিল যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সফর।
লন্ডনে পৌঁছানোর পরদিন মঙ্গলবার ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
অর্থনীতি, সামাজিক ও নারী উন্নয়নে অগ্রগতির ‘ভূয়সী প্রশংসা’ করে ডেভিড ক্যামেরন বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। এই সাফল্য কিভাবে এলো- তা দেখতে বাংলাদেশ সফরেরও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
গার্ল সামিটে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে কমে আসার চিত্র এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গেও বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এই সফরে তার সঙ্গী ছিলেন।