গাজায় ১২ ঘন্টার যুদ্ধবিরতি
ডেস্ক রিপোর্ট: জাতিসংঘের আহ্বানের পর গাজায় ১২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস।
ইসরায়েল সেনাবাহিনী স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৮টা থেকে ১২ ঘণ্টা যুদ্ধ থেকে বিরত থাকবে।
“তবে এই সময়ের মধ্যে সুড়ঙ্গে অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে। ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে যদি আক্রমণ করা হয়, সেক্ষেত্রে আমরাও পাল্টা জবাব দেব,” বলেছেন ইসরায়েল সেনাবাহিনীর একজন মুখমাত্র।
অন্যদিকে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি আছেন।
ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য ৩ ঘণ্টা। সে হিসাবে বাংলাদেশ সময় শনিবার বেলা ১১টায় ওই ক্ষণ গণনা শুরু হবে।
এর আগে মধ্যপ্রাচ্য সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি শুক্রবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দেন।
শুরুতে ওই প্রস্তাবের বেশিরভাগ দিকই হামাসের পক্ষে গেছে দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইসরায়েলের ১৮ দিনের অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছে প্রায় সাড়ে আটশ’ মানুষ, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।
অন্যদিকে হামাসের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের ৩৪ জন সেনাসদস্য ও দুইজন নাগরিক নিহত হন।
শুক্রবারও গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে নিহত হয়েছেন ৫৫ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে হামাসের অন্যতম মিত্র ইসলামিক জিহাদের গণমাধ্যম শাখার প্রধান ও তার ছেলেও রয়েছেন।
একদিন আগে গাজার বাইত হানুন এলাকায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে কামানের গোলা নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি সেনারা। ওই হামলায় অন্তত ১৫ শরাণার্থী নিহত ও অপর দুইশ’ মানুষ আহত হয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ বলে গণ্য হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান নাভিপিল্লাই।
বিবিসি জানায়, গাজায় ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে নেদারল্যান্ডসের হেগে অন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধের মামলা করেছেন ফ্রান্সের একজন আইনজীবী।
গত ৮ জুলাই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। ১০ দিনের মাথায় এর মাত্রা বাড়িয়ে নৌ ও স্থল অভিযানও শুরু করে তারা।
ইসরায়েলের হামলার জবাবে হামাসও ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।