চা আবাদ পঞ্চগড়ের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে
এইদেশ এইসময়ঃ পঞ্চগড়ে চায়ের আবাদ বাড়ছে। উৎপাদন বাড়ছে। এতে স্থানীয় লোকজন স্বাবলম্বী হচ্ছে। তাদের জীবন যাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে। সমৃদ্ধ হচ্ছে পঞ্চগড়ের অর্থনীতি।
২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত কয়েকবছর বড় বড় বিনিয়োগকারীর পাশাপাশি সব পর্যায়ের কৃষকরা চা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। পঞ্চগড়ে চা’কে এখন বলা হয় একটি অর্থকরী ফসল।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের (বিটিবি) সূত্র জানায়, চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, এই খাতের দ্রুত অগ্রগতি সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। এদের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষী ও দরিদ্র নারী।
বিটিবি’র এক কর্মকর্তা জানান, ‘২০১৩ সালে পঞ্চগড়ে রেকর্ড পরিমাণ এক দশমিক ৪৫৫১ মিলিয়ন কেজি উন্নত মানের চা উৎপাদিত হয়েছে। ২০১২ সালের তুলনায় ২৭ দশমিক ৪৮ ভাগ বেশি। ২০১২ সালে উৎপাদিত এক দশমিক ১৪১৪৭৫ মিলিয়ন কেজি।’
তিনি বলেন, চলতি বছর এক দশমিক ৮ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হতে পারে।
২০০৫ সাল থেকে গড়ে প্রতিবছর পঞ্চগড়ে ১ লাখ কেজি চা বেশি উৎপাদিত হচ্ছে। ছোট আকারে বাগান করে চা উৎপাদন লাভজনক হচ্ছে এবং তা জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে।
বর্তমানে পঞ্চগড়ে ৩ হাজার ১১০ একর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে ৮শ’ ৬৬ একরে ক্ষুদ্র চাষীরা, ১৬৩ একরে মাঝারী চাষীরা এবং ২০৮১ একর জমিতে বড় বিনিয়োগকারীরা চা চাষ করছে।
চা খাতে দশ হাজার ৫শ’ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৭ হাজারই হলো দরিদ্র, দুঃস্থ ও বেকার নারী।