গাজায় দ্বিতীয় দিনের মত যুদ্ধবিরতি চলছে
গাজা সিটি, ৬ আগস্ট,এইদেশ এইসময়ঃ গাজায় বুধবার দ্বিতীয় দিনের মত যুদ্ধবিরতি চলছে। এদিকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা ৭২ ঘন্টার যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়াতে কায়রোতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় বসার প্রস্তুতি নিয়েছে। মঙ্গলবার শুরু হওয়া এ যুদ্ধবিরতি বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। যুদ্ধবিরতি উভয় পক্ষের লাখ লাখ লোকের মাঝে স্বস্তি এনেছে। গত ৮ জুলাই শুরু হওয়া হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধে এক হাজার ৮শ’ ৭৫ ফিলিস্তিনি ও ৬৭ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। ইসরাইল ও ফিলিস্তিন প্রতিনিধিরা এখন একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা মিশরের রাজধানীতে প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেছেন। ফিলিস্তিনিরা গাজার ওপর থেকে ইসরাইল আরোপিত আট বছরের অবরোধ প্রত্যাহার ও সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন। অন্যদিকে গাজার পূর্ণ বেসামরিকীকরণ চায় ইসরাইল। ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি বলেন, যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আরো ৭২ ঘন্টা বা এর বেশি সময় বাড়ানো হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন। কায়রো আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র অংশ নিচ্ছে। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছেন। তবে তিনি এও বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যাপক ইস্যুগুলোর অবশ্যই সমাধান প্রয়োজন। গত জুলাই মাসে দখলকৃত পশ্চিম তীরে তিন ইসরাইলি কিশোর ও জেরুজালেমে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে হত্যার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইসরাইলি তিন কিশোরকে হত্যার জন্য হামাসকে দায়ী করা হয়। তবে হামাস এ অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে। এর কয়েকদিন পর পূর্ব জেরুজালেমে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে অপহরণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন ৬ ইহুদীকে আটক করে। এরপর মূলত ইসরাইল ও হামাস পাল্টপাল্টি হামলা শুরু করে। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের জন্য ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে ফিলিস্তিনিরা সংগ্রাম শুরু করে। এর পর থেকে নিয়মিত রক্ত ঝরলেও আজও তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।