মন্ত্রীদের আরো সংযমী হতে হয়:সুরঞ্জিত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বর্তমান সরকারের মন্ত্রীদের কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, মন্ত্রীদের আরো সংযমী হতে হয়, চট করে উত্তেজিত হলে চলবে না। মন্ত্রীরা আজ গালমন্দ করে পরের দিন ক্ষমা চাইলে হবে না। একটা কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে। গণমাধ্যম একটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। একে বাদ দিয়ে গণতন্ত্র ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয় না।সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অন্যের মন্ত্রণালয়ে বেশি মনোযোগ না দিয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের দিকে মন দিতে হবে। নিজেরটা বাদ দিয়ে অন্যেরটা নিয়ে ব্যস্ত থাকলে চলবে না।
সুরঞ্জিত বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা খুব ভালো কাজ। কিন্তু সংঘাতপূর্ণ রাজনীতিতে এটা (নীতিমালা) কতটুকু ফলপ্রসূ হবে সেটা নিয়ে আরো ভাবতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। যে নীতিমালা লেখা হয়েছে এটাই তো শেষকথা নয়, সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ আছে। তবে এখানে যতটুকু ছাড় দেয়া যায়, ততই গণতান্ত্রিক হবে।আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন,তিনি বলেন, সরকার ও বিরোধী দলের দায়িত্বহীন বক্তব্যের কারণে একের পর এক গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। উভয় পক্ষকেই গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চোখের মণির মত রক্ষা করতে হবে।তিনি আরো বলেন, নিজ দলের আন্দোলন নিয়ে গর্বিত হবেন। আর অন্য দলের আন্দোলন পদদলিত করবেন এটা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতি নয়।তিনি বলেন, বাম দলগুলোকে আমি আগেই বলেছি আন্দোলন করা ভাল। তবে হঠকারিতা করা ভালো নয়। নারী শ্রমিকদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি আছে, তাদের শুধু বেতনই নয় বোনাসও দিতে হবে। এজন্য কে কী বিক্রি করে বেতন বোনাস দেবেন সেটা দেখার বিষয় নয়।দেশে এ পর্যন্ত যত লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটেছে তার কোন বিচার হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন পর্যস্ত এ সমস্ত ঘটনার বিচার হয়নি। ৮০ জনের লঞ্চে ২৫০-৩০০ জন চড়লে দুর্ঘটনাতো ঘটবে সেটা জানতে বিএ,এমএ পাশ করতে হয় না। কয়েকবার মন্ত্রীও হতে হয় না। এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে আরও সতর্ক ও মনোযোগী হতে হবে। পাশাপাশি মেরিন আদালতে এদের বিচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ফিটনেসবিহীন যতগুলো লঞ্চ রয়েছে। এগুলোর মালিক আওয়ামী লীগ না বিএনপি তা বিবেচনা না করে সেগুলো বাতিল করেতে হবে।
আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির আহমাদের সভাপতিত্বে আলোচান সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী, যুবলীগ নেতা মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু ও সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।