তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের পথে:এরদোগান
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ তুরস্কের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রজব তাইয়েব এরদোগান নিশ্চিত বিজয়ের পথে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গণনাকৃত ৯২.০৮ শতাংশ ভোটের মধ্যে এরদোগান পেয়েছেন ৫৩.২৩ শতাংশ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইহসানোগলু পেয়েছেন ৩৭.৭২ শতাংশ ভোট। ৫০ শতাংশ ভোট পেলেই একজন প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত হয়ে যাবে। ইন্টারনেট।তুরস্কের জনগণ প্রথমবারের মতো সরাসরি ভোটে একজন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট প্রদান করেছে। ২০০৭ সালে দেশের সংবিধান সংশোধনীর সাথে সামঞ্জস্য রেখে গতকাল ১০ আগস্ট এ ঐতিহাসিক নির্বাচনের আয়োজন করা হয়।এ নির্বাচনের মাধ্যমে এরদোগান তুরস্কে তার ১০ বছরেরও বেশি সময়ের শাসনের মেয়াদ আরো বাড়াতে চান। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন রক্ষণশীল শিক্ষাবিদ ও কূটনীতিক একমেলদিন ইহসানোগলু। তিনি ইসলামি সহযোগিতা
সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব ছিলেন।তুরস্কের দু’টি প্রধান বিরোধী দল বাম ঘেঁষা সেকুলার দল রিপাবলিক্যান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) ও ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি (এমএইচপি) এবং তিনটি ছোট দল তাকে সমর্থন দিয়েছে। তবে তুরস্কের জনগণের কাছে তিনি অনেকটা অপরিচিত ব্যক্তিত্ব।তুরস্কের বিশিষ্ট সংখ্যালঘু কুর্দি ব্যক্তিত্ব সালাহউদ্দিন দেমিরতাস হলেন এ নির্বাচনে তৃতীয় প্রার্থী। পিপলস ডেমোক্র্যাসি পার্টি তাকে সমর্থন করছে।তুরস্কের জনমত জরিপ সংস্থা এ অ্যান্ড জির জরিপে বলা হয়েছে এ নির্বাচনে এরদোগান ৫৫.১ শতাংশ, ইহসানোগলু ৩৩ শতাংশ এবং সালাহউদ্দিন ১১.৬ শতাংশ ভোট পাবেন।স্থানীয় নির্বাচনে একে পার্টির জয় :স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাত্র তিন মাস পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ওই নির্বাচনে এরদোগানের একে পার্টি নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ, সরকারবিরোধী ঘন ঘন বিক্ষোভ এবং সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে এতে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা মোটেই কমেনি।তুরস্কের রাজনীতিতে প্রেসিডেন্টের পদটি প্রধানত অনুষ্ঠানসর্বস্ব। তবে এরদোগান জয়ী হলে তাতে পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণাকালে এরদোগান অবকাঠামো প্রকল্প, পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনৈতিক সংস্কার ও প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির নতুন সংবিধান নিয়ে কথা বলেছেন, যাতে প্রেসিডেন্ট আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।এরবিপরিতে ইহসানোগলু ‘ঐক্য’ ও ‘নিরপেক্ষতার’ ওপর জোর দিয়েছেন। যাতে তার অধিকতর ঐতিহ্যবাহী ও অসক্রিয় প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।দীর্ঘকাল ধরে তুরস্কের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে অস্থিরতা চলার পর ২০০১ সালে এরদোগানের প্রতিষ্ঠিত একে পার্টি ক্ষমতায় আসার পর দেশটিতে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।এ নির্বাচনে প্রথম দফায় কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় দফা ভোট অনুষ্ঠিত হবে শীর্ষস্থান লাভকারী দুই প্রার্থীর মধ্যে ২৪ আগস্ট।