হারিয়ে যাওয়া শিশুটিকে মায়ের কোলে ফেরাল কুকুরটি
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ সাইবেরিয়ার একটি জঙ্গলে সম্প্রতি হারিয়ে যায় তিন বছরের এক কন্যা সন্তান। এরপর কেটে যায় প্রায় দুই সপ্তাহ। এর মধ্যে তার কোনো খোঁজ মেলাতে পারেননি তার বাবা-মা ও উদ্ধারকর্মীরা।
সাইবেরিয়ার ওই জঙ্গলে নেকড়ে আছে, আছে ভয়ংকর আরো প্রাণি। এসবের মধ্যেও শিশুটি প্রাণে বেঁচে আছে। প্রশ্ন হলো- গহীন অরণ্যে কে বাঁচাল শিশুটিকে।
শিশুটি যখন হারিয়ে যায় তখন তার সঙ্গে ছিল প্রিয় কুকুরটি। এ কুকুরটিই তাকে জঙ্গলের সমূহ বিপদ থেকে রক্ষা করে। শীতের রাতে শিশুটিকে জড়িয়ে ধরে তার শরীর গরম রাখে। নেকড়েরা যাতে তাকে খুঁজে না পায়, সে জন্য শিশুটিকে লম্বা ঘাসের মধ্যে নিয়ে লুকিয়ে রাখে।
শিশু কন্যাটির নাম কারিনা চিকিটোভা। উদ্ধারকর্মীরা যখন জঙ্গলে তাকে তন্ন তন্ন করে খুঁজছিল, তখন তার প্রিয় কুকুরটি-ই তার অবস্থান শনাক্তে সাহায্য করে তাদের। এভাবে অবশেষে মায়ের কোলে ফিরে আসে সে।
কারিনা চিকিটোভাকে উদ্ধারের সময় ধারণকৃত ভিডিও চিত্র থেকে দেখা যায়, কীভাবে সে লম্বা ঘাসের ভেতর জবুথবু হয়ে বসে ছিল।
আফানাসাই নিকোলায়েভ নামে এক উদ্ধারকর্মী বলেন, ‘আমি যখন জঙ্গল থেকে কারিনা চিকিটোভাকে কোলে করে তুলে নিয়ে গাড়িতে রাখলাম, তখন মনে হচ্ছিল একটি পাখি নিয়ে এলাম। তার ওজন এতটাই কম ছিল। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য, সে জ্ঞান হারায়নি।
কীভাবে হারাল মেয়েটি? সাইবেরিয়ান টাইমসের বরাত দিয়ে অরেঞ্জ জানিয়েছে, রাশিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সাখা প্রজাতন্ত্রে বাড়ি কারিনা চিকিটোভাদের। কয়েক দিন আগে তার বাবা বাড়ি থেকে কোথাও যাচ্ছিলেন। কৌতুহলের বশে ছোট্ট কারিনা চিকিটোভা তার বাবার পিছে পিছে হাঁটা শুরু করে। কিন্তু তার বাবা তা জানতেন না। বেশ কিছু পথ পাড়ি দেওয়ার পর সে তার বাবাকে দৃষ্টিসীমা থেকে হারিয়ে ফেলে।
পথ হারিয়ে সে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। সঙ্গে ছিল তার প্রিয় কুকুর। সেই থেকে ১১ দিন, মেয়েটিকে আগলে রাখে কুকুরটি।