‘ডাইরেক্ট অ্যাকশনে’ ২০ দলের শোডাউন
মোঃ জাফর ইকবাল, ঢাকা : ফিলিস্তিনিতে ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে কালো পতাকা মিছিলে এক প্রকার শোডাউনই দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এটি মানবিক কর্মসূচি থাকলেও শেষ পর্যন্ত কর্মীদের মুখে মুখে ছিল সরকারের বিরুদ্ধে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশনের’ স্লোগান। সেজন্য মৌন মিছিল ছাপিয়ে স্পষ্ট হয়ে ওঠে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন, এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি; নির্বাচনের দাবিতে আগুন জ্বালো একসাথে’, এমন স্লোগান।
মঞ্চ থেকে বারবার ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল এ ধরনের স্লোগান না দেওয়ার আহ্বান জানালেও তা থামেনি। এমনকি মিছিল-পূর্ব বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসও বলতে বাধ্য হন, ‘এ কর্মসূচি সরকারের বিরুদ্ধে নয়। এখানে কোন স্লোগান হবে না। মিছিল হবে শান্তিপূর্ণ।’
এদিকে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে এই প্রথম রাজপথে কোনো কর্মসূচি পালন করল বিএনপি নেতৃত্বধীন জোট। এ ছাড়া কালো পতাকা মিছিলটি ঢাকা মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটির জন্য ছিল প্রথম কোনো কর্মসূচি। সেজন্য ব্যাপক শোডাউন আর বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থকের উপস্থিত করা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেয়।
কর্মসূচিতে ব্যাপক শোডাউনের জন্য একাধিক বৈঠক করে সেই অনুযায়ী নির্দেশনাও পাঠায় ঢাকা মহানগর বিএনপি। এতে কাজও হয়। মহানগরের নতুন কমিটির কর্মসূচি সফল হয়েছে। মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শুরু করে থানার কমিটিগুলো কালো পতাকা মিছিলে তাদের উপস্থিতি জানান দিতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের জড়ো করে। জোটের শরিকরাও তাদের সরব উপস্থিতি জানান দিয়েছে। বিশেষ করে নীরবতা ভেঙে জামায়াত ইসলামীর সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
বিকেল ৩টায় মিছিল শুরুর কথা থাকলেও তা প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পরে শুরু হয়। এর আগেই নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকা ছাপিয়ে নেতাকর্মীর উপস্থিতি ফকিরাপুল থেকে শুরু করে শান্তিনগর মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্ক পর্যন্ত নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
কালো পতাকার মিছিলে ‘স্টপ জেনোসাইড’, ‘প্রে ফর গাজা’, ‘বর্বর গণহত্যা বন্ধ করো’, ‘জাতিসংঘ সোচ্চার হও’, ‘স্টপ মুসলিম কিলিং অ্যাট গাজা’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্রতিবাদী ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাটুন নিয়ে আসেন নেতা-কর্মীরা। বাংলা, ইংরেজী ও আরবিতে লেখা ওইসব ব্যানারে ফিলিস্তিনিতে ইসরায়েলের আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলা বন্ধের দাবি জানানো হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলের আগ্রাসন বিরোধী এসব স্লোগান চাপা পড়ে গেছে সরকারবিরোধী স্লোগানে।