জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে বিএনপির গণসংযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনের দাবিতে জনগণকে আন্দোলনে ‘সম্পৃক্ত’ করতে সারাদেশে গণসংযোগ করতে যাচ্ছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। আজ বৃহস্পতিবার থেকে ১১ দিনের ওই গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।গত ১২ আগস্ট ২০ দলের মহাসচিবদের সঙ্গেযৌথসভা শেষে এ কর্মসূচির ঘোষনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এ আগে স্থায়ী কমিটি এবং শরিক দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে এ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।২১ থেকে ৩১ আগস্ট সারাদেশের জেলা ও মহানগরে গণসংযোগ করবে ২০ দলের নেতারা। এতে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা সফরের জন্য নেতাদের এলাকা ভাগ করে দিয়েছে দলটি। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে জোটের ১১ দিনের গণসংযোগ।
দলীয় সূত্র জানায়, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকা মহানগরে গণসংযোগের দায়িত্ব পড়ছে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ঢাকা জেলা ও নারায়ণগঞ্জ, তরিকুল ইসলাম নড়াইল, খুলনা জেলা ও মহানগর, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার দিনাজপুর ও সৈয়দপুর, আ স ম হান্নান শাহকে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর, ড.আব্দুল মঈন খান ফরিদপুর ও মাদারীপুর, এম কে আনোয়ার চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও মহানগর, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যশোর ও ঝিনাইদহ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ, নজরুল ইসলাম খান বগুড়া, রাজশাহী মহানগর ও সিরাজগঞ্জের দায়িত্বে থাকছেন। এছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে পিরোজপুর, এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে ভোলা, সেলিমা রহমানকে নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ, আব্দুল্লাহ আল নোমানকে বরিশাল উত্তর ও দক্ষিণ এবং মহানগর, এম মোরর্শেদ খানকে কক্সবাজার, শমসের মবিন চৌধুরীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইফসুফকে রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুককে নরসিংদী, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে রাঙ্গামাটি ও ফেনী, আব্দুল আইয়াল মিন্টুকে খাগড়াছড়ি, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে কুমিল্লায় গণসংযোগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে রাজশাহী জেলা ও পাবনা, ফজলুর রহমান পটলকে নীলফামারী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মুশফিকুর রহমানকে শেরপুর, খন্দকার মাহবুব হোসেনকে বরগুনা, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খানকে শরীয়তপুর, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনকে গাজীপুর, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানকে মাগুড়া ও বাগেরহাট, মিজানুর রহমান মিনুকে রংপুর জেলা ও মহানগর, মো. শাহজাহানকে সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার, বরকত উল্লাহ বুলুকে কুমিল্লা উত্তর ও চাঁদপুর, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে সিলেট মহানগর ও জেলা, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার গোলাম আকবরকে বান্দরবান, হারুন অর রশিদকে নওগাঁ ও জয়পুরহাট, মশিউর রহমানকে কুষ্টিয়া, আসাদুল হাবিব দুলুকে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা, মনিরুল হক চৌধুরীকে মেহরেপুর, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে লালমনিরহাট, রুহুল কুদ্দস তালুকদার দুলুকে পটুয়াখালী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপনকে সাতক্ষীরা, নিতাই রায় চৌধুরীকে চুয়াডাঙ্গা, নাজিম উদ্দিন আলমকে ঝালকাঠি ও জয়নুল আবদীন ফারুককে জামালপুর এবং মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে নাটোর জেলায় গণসংযোগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।গণসংযোগ কর্মসূচি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির সবসময়ই জনগণের ওপর আস্থা রেখেছে। সহিংস আন্দোলন নয়, বরং গণসংযোগের মতো কর্মসূচির মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলে এ সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে। সেই সঙ্গে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাধ্য করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জনগণ যত দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হবে, সোচ্চার হবে, বিএনপির আন্দোলনও তত বেশি জোরদার হবে। কারণ, জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তিই আমাদের শক্তি।’