জিয়াউর রহমান জীবিত থাকলে তার বিরুদ্ধে চার্যশীট দাখিল হত:খাদ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খাদ্যমন্ত্রী এড. কামরুল ইসলাম বলেছেন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী জিয়াউর রহমান। তিনি জীবিত থাকলে তার বিরুদ্ধে চার্যশীট দাখিল হত। ফৌজদারি মামলায় কোন মৃতব্যাক্তির নামে চার্যশীট দাখিল হয়না তাই তিনি চার্যশীটের বাইরে রয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১২টায় কবি নজরুল সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনী কর্ণেল মুর্শিদ ও কর্ণেল ফারুক বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট বলেছেন, যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনার কথা তারা জিয়াউর রহমানকে জানান তখন জিয়াউর রহমান বলেছিলেন ‘গো এহেড’। হত্যা মামালার সাক্ষীতে উঠে এসেছে এই পরিকল্পনার মূল হোতা জিয়াউর রহমান। মুস্তাক, ফারুক, রশিদ ও চাষী মৃত্যবরণ না করলে তাদের নামেও চার্যশীট দাখিল করা হতো।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করতে চেয়েছিলেন। সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বানানোর চেষ্টা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশে পূনর্বাসিত করেছিলেন। বিচার করার পথ বন্ধ করেছিলেন। খুনীদের বিদেশী দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল তাহেরসহ হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করেছে। প্রতিদিন জেলখানায় সেনাসদস্যদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে জিয়াউর রহমানের মত এত বড় হত্যকারী রাষ্ট্রনায়ক খুঁজে পাওয়া যাবেনা। হিটলারের সাথে জিয়াউর রহমানকে তুলনা করলে কম হয়ে যাবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি, জামায়াত ও জঙ্গিবাদকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। জিয়াউর রহমান যে কাজটি করে যেতে পারেননি তা সমাপ্ত করার চেষ্টা করছেন তারেক জিয়া। তারই পরিকল্পনায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। হাওয়া ভবনেই সব পরিকল্পনা করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার উত্থান। এটা তার রাজনৈতিক উত্থান। ১৯৯৬ সালের পর থেকে তিনি (খালেদা জিয়া) ১৫ আগস্টে জন্মদিন পালন শুরু করেন। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট যদি শেখ হাসিনাকে হত্য করা সম্ভব হতো তাহলে বোধহয় তারেক রহমান ২১ আগস্ট জন্মদিন পালন করতেন। ২১ আগস্ট সারা দেশে গ্রেনেড হামলা করে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটানোর মূল পরিকল্পনা করেন তারেক জিয়া।
ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৭১, ৬৯ এবং ৬৬’র ছাত্রলীগের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মমুনুর রশিদ মামুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ সাইদ খোকন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক গোলাম সরোয়ার কবির, কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যাক্ষ ড. নুরুন নাহার, উপাধ্যাক্ষ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম।