সাপের ভয় দেখিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ পারিবারিক খামারবাড়িতে গণধর্ষণের শিকার হলেন তরুণী। বিষধর সাপের ভয় দেখিয়ে তাঁর শ্লীলতাহানি করে সাত দুষ্কৃতী। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইলের হুমকিও দেয় তারা। শেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ে দুষ্কৃতীরা।গত ৩১ জুলাই ভারতের হায়দরাবাদের শহরতলিতে পারিবারিক ফার্মহাউসে প্রেমিকের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন সদ্য আঠারোয় পা দেওয়া এক তরুণী। আচমকা সেখানে হানা দেয় ৭ দুষ্কৃতীর দল। ওই তরুণীর প্রেমিককে মারধর করার পর মেয়েটির উপর চড়াও হয় তারা। ‘শিকার’ যাতে বিশেষ বাধা দিতে না পারে, সে জন্য তার গায়ে জ্যান্ত সাপ ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখায় তারা। এরপর একে একে চারজন তাকে ধর্ষণ করে। শ্লীলতাহানির গোটা ঘটনার ছবি মোবাইল ক্যামেরায় তুলে রাখে তারা। হুমকি দেয়, ঘটনার কথা পুলিশের কাছে জানালে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি প্রচার করা হবে। শেষে নগদ ৬০,০০০ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুঠ করে চম্পট দেয় অপরাধীরা।
গোয়েন্দারা তাঁর পরিচয় গোপন রাখবেন, এই শর্তে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। বিস্তারিত ঘটনাবলী জানার পর তদন্তে নামেন গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় দলের পান্ডা ফয়সল দয়ানিসহ ৭ দুষ্কৃতীর গোটা দলটিকে। তাদের আত্মগোপনে সাহায্যকারী অন্য দুই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।জেরায় জানা গেছে, জ্যান্ত বিষধর সাপ গায়ে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এর আগেও বহু অপরাধ সংগঠিত করেছে দলটি। এর মধ্যে বেশির ভাগই ছিনতাইয়ের ঘটনা। এছাড়া, মোটা টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জমি-বাড়ির বিবাদ মেটাতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে তারা। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক আর সুদর্শন জানিয়েছেন, ‘গোটা পাহাড়িশরিফ এলাকা জুড়ে এই দলটির দাপট রয়েছে। অঞ্চলে অসংখ্য অপরাধের পিছনে এদের হাত রয়েছে। মানুষ এগিয়ে এসে অভিযোগ জানালে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’জানা গেছে, যেখানেই যে অপরাধ এরা করে, তার ভিডিও তুলে রাখাই এদের অভ্যাস। দুষ্কৃতীদের মোবাইল ঘেঁটে এমন বেশ কিছু অপরাধের ছবি উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে সেই সমস্ত তথ্য আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।