ইরাকে আইএসের ‘নৃশংস’ হত্যাকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা জাতিসংঘ মহাসচিবের
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন ইরাকের উত্তরাঞ্চলে ইসলামিক স্টেট জিহাদিদের ‘বেসামরিক নাগরিকদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের’ শুক্রবার কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, সুন্নি উগ্রবাদী এ গোষ্ঠি সেখানে সমগ্র সম্প্রদায়ের জীবনকে লন্ডভন্ড করে ফেলছে ।
জিহাদিরা ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ওই ভূ-খন্ডকে ‘খিলাফত’ রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে এ গ্রুপের বিরুদ্ধে ইরাকে ‘জাতিগত ও ধর্মীয় দিক থেকে নির্মূল অভিযান’ চালানোর অভিযোগ করে বলেন, তারা বেছে বেছে অ-আরব ও সুন্নি বিরোধী মুসলমানদের হত্যা করছে। তারা তাদেরকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত ও অপহরণ করছে।
ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে জাতিসংঘের এক সম্মেলনে এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বান বলেন, ‘সকল প্রধান ধর্মের মূল কথা শান্তি ও সহনশীলতা।’
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আগের নাম উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘ এ কারণেই ইরাকে আইএসএলের হাতে বেসামরিক নাগরিকদের নৃশংস হত্যা কা-ের খবরে আমি স্তম্ভিত।’
‘ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে আইএসের এ ধরণের নৃশংস কর্মকা-ে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বংশানুক্রমে বসবাসকারী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক ওই অঞ্চল থেকে প্রানভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে অথবা মৃত্যুর মুখে পড়ছে।’
বান বলেন, শুধুমাত্র বিশ্বাসের কারণে তাদের এমন হুমকির সন্মুখীন হওয়া ঠিক নয়।
এ সপ্তাহের গোড়ার দিক জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান নাভি বিল্লাই বলেন, ইরাকে সংখ্যালঘু বিভিন্ন জাতি বা গোষ্ঠির আইএসের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল।
আইএসের নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু গোষ্টিগুলোর মধ্যে রয়েছে খ্রিস্টান, ইয়াজিদি, শাবাক, তুর্কোমান, কাকাই ও সেবিয়ান।