পরাজিত শক্তির উত্থান হতে দেওয়া হবে নাঃ প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অনেকে অনেক কথা বলছেন। বলেন, বলার সুযোগ দিয়েছি। সমালোচনা করছেন, করেন। আমাদের দোষ অনেকেই টোকাচ্ছেন, টোকাতেই থাকেন। কিন্তু এদেশে পরাজিত শক্তির উত্থান হতে দেওয়া হবে না।’ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যুদ্ধপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন।
আমরা তাদের বিচার করছি। খুনীদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। তিনি বলেন, ‘বার বার আমি মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছি। আমার হারাবার কিছুই নেই। বুকে পাথর বেধে আমি বাংলার মাটিতে এসেছি। মৃত্যুকে আমি পরোয়া করি না। আমি জনগণের সেবক।’ তিনি বলেন,‘দেশে ফেরার পর জিয়া আমাকে ৩২ নম্বরের বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। মিলাদ মাহফিল করতে চেয়েছিলাম তাও করতে দেয়নি। জিয়া সেই বাড়ির তালা খুলে দেয়নি। তার কিসের ভয় ছিল?’ শেখ হাসিনা বলেন,‘জিয়া বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের পুরষ্কৃত করেছেন, তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন। খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে খুনী কর্নেল রশিদ ও মেজর হুদাকে এমপি বানিয়েছিলেন। তাদের সম্মানিত করেছিলেন। আমরা তাদের বিচার করেছি।’ তিনি বলেন, ‘খুনীদের যারা লালন-পালন করেছে, তারাই যে বঙ্গবন্ধুর খুনী এতে সন্দেহ নেই। আর সম্পর্ক কত গভীর থাকলে পাকিস্তানী বাহিনীর প্রধান খুনী জানজুয়ার মৃত্যুতে খালেদা জিয়া শোকবার্তা পাঠান। যারা খুন করেছে, নারী ধর্ষণ করেছে তাদের তো আর সম্মান দেওয়া যায় না।’ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করেছেন। কোনো লোভ-লালসা তাকে স্পর্শ করেনি। ভোগ নয় আমাদেরও ত্যাগ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেই শিক্ষাই আমাদের দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বে সম্মানের সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়াবে। ইনশাল্লাহ আমরা তা করতে পারবো।’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিকৃত চরিত্রের ও মানসিকতার না হলে কেউ ১৫ আগস্ট কেক কেটে জন্মদিন পালন করতে পারে না।’ সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, হাজী সেলিম, শাহে আলম মুরাদ।