বঙ্গোপসাগরকে উন্নয়ন নিয়ামক হিসাবে ব্যবহার করা সম্ভব
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাণিজ্য সমপ্রসারণ, জ্বালানি নিরাপত্তায় সমুদ্রের খনিজ সম্পদের ব্যবহার, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরকে আমরা উন্নয়নের নিয়ামক ভূমিকা হিসাবে ব্যবহার করতে পারি।তিনি বলেন, সমুদ্র সম্পদের প্রাপ্যতা, উত্তোলন এবং ব্যবহার সম্পর্কে বাংলাদেশের পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল এবং প্রযুক্তির অভাব রয়েছে।সোমবার সকালে রাজধানীতে সোনারগাঁও হোটেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভূ-কেন্দ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি সমুদ্রভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকান্ড আমাদের সামনে খুলে দিতে পারে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত।প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পোন্নত দেশগুলোর সহায়তায় এসকল ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়েও বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সীমানাকে বড় ‘বাধা হিসাবে’ আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বিষয়টি সবার জানা থাকলেও বিগত ৪০ বছর এ সমস্যা সমাধানে কেউ কোন বাস্তব পদক্ষেপ নেয়নি। বরং এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে।তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর আপত্তির মুখে কেবল সমুদ্রসম্পদ আহরণের প্রক্রিয়াই বাধাগ্রস্ত হয়নি, দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”প্রধানমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক ৬ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ আসে সমুদ্র পরিবহনের মাধ্যমে।বঙ্গোপসাগরে বিদ্যমান নানা প্রজাতির মৎস্য ও অন্যান্য জৈবসম্পদ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সামুদ্রিক মৎস্য রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. সায়েদুল হক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং আন্তর্জাতিক খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহকারী মহাপরিচালক আর্নি ম্যাথিসেন বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।