বর্ষায় মেঘ যখন দল বেঁধে ভেসে বেড়ায় নীলগিরিতে
মোঃ জাফর ইকবাল, ঢাকা : সবুজ পাহাড়ের বুকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান বান্দরবান। এ যেন এক কল্পনারাজ্য! এখানেই যেন সৌন্দর্যের আবেশে প্রকৃতির সান্নিধ্যে হারিয়ে যাওয়া যায় অনায়াসে। দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল সীমান্তে অবস্থিত বান্দরবান অনেকের কাছেই ‘বাংলার দার্জিলিং’ নামে পরিচিত। এই বান্দরবানেই নীলগিরির অবস্থান। দেশ-বিদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে এই জায়গাটির প্রতি রয়েছে অন্য রকম এক আকর্ষণ। নীলগিরির রূপ আর প্রকৃতিগত রঙ দেখে বিমোহিত হবেন যে কেউ। সুতরাং যারা বান্দরবানে ঘুরতে আসেন অথবা এখানে এসে চিম্বুক পাহাড় দেখতে আসেন তারা নীলগিরিতে কিছু সময়ের জন্য হলেও ঢুঁ মেরে যান। আমাদের দেশের দ্বিতীয় স্বাস্থ্যকর স্থান চিম্বুকের কাছাকাছি নীলগিরির অবস্থান। বান্দরবান জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪৭ কিলোমিটার। এখানে এসে আপনি চাইলে রাত্রি যাপনেরও সুযোগ পাবেন। কেননা এখানে পর্যটন কেন্দ্রের রিসোর্ট রয়েছে।
ছবি (মোঃ জাফর ইকবাল)
অবাধ তথ্য প্রবাহের এই যুগে বান্দরবানের পর্যটন শিল্পের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র নীলগিরির কথা এখন অনেকেই জানেন। ফলে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় নীলগিরিতে পর্যটক এখন বেড়েছে। নীলগিরিতে পর্যটনের রিসোর্টটি পাহাড়ের চূড়ায় হওয়ায় সেখানে দাঁড়িয়ে হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায় মেঘ। দল বেঁধে ভেসে বেড়ানো মেঘের দেশে হারিয়ে যাওয়ার এই সুযোগ আমাদের দেশে একমাত্র নীলগিরিতেই পাওয়া যায়। এই মনোরম দৃশ্য সত্যি অবাক করার মতো!
বর্ষায় মেঘ যখন দল বেঁধে ভেসে বেড়ায় তখন সড়কে চলাচল করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। দিনের বেলা তখন গাড়ির হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হয়। এ সময় একটু অসাবধান হলেই এই আনন্দভ্রমণ নিরানন্দে রূপ নিতে পারে। তাই নীলগিরি এসে সতর্ক হয়ে চলতে হবে আপনাকে। বিশেষ করে বর্ষা ও শীত মৌসুমে এটা মানতেই হবে। তখন চিরচেনা নীলগিরির অন্য চেহারা। পর্যটকেরা নীলগিরির সেই রূপ দেখতে ভিড় জমান। নীলগিরির চারপাশ জুড়ে সবুজের সমাহার। দু’চোখ যেদিকে যায় শুধু বনভূমি। এমন সবুজ দেখতে হলে আসতে হবে নীলগিরি। থাকতে হবে পর্যটন কেন্দ্রের রিসোর্টে। এর প্রতি রাতের ভাড়া কক্ষ ও সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা।
যেভাবে যাবেন : দেশের যে কোনো জায়গা থেকে বান্দরবান আসা যাবে। বান্দরবান বাস স্টেশনের কাছাকাছি হোটেল হিলবার্ডের সামনে থেকে নীলগিরি যাওয়ার জন্য জীপ গাড়ি বা মাইক্রোবাস ভাড়া পাওয়া যায়। জীপ গাড়ি বা মাইক্রোবাসের রিজার্ভ ভাড়া প্রায় ৫ হাজার টাকা।