তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আবারও এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গ্রাম্য সালিশে বাবাকে নাজেহালের প্রতিবাদ করায় দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে পুলিশের সন্দেহ। এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
বুধবার বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলার রেলওয়ের একটি ট্রাক থেকে মেয়েটির অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সন্দেহ, ১৫ বছর বয়সী ওই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রাম্য নেতাদের নয়জনকে আসামি করে মামলা করা হলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পরিবারের দাবি, গত সোমবার ট্রাক্টর নিয়ে একটি দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য তাকে ও তার বাবাকে গ্রাম্য সালিশিতে ডাকা হয়। সালিশির লোকেরা মেয়েটির বাবাকে মাটিতে থুথু ফেলে তা আবার চেটে তোলার নির্দেশ দেন। কিন্তু এর প্রতিবাদ করার জন্য মেয়েটিকে পরিণতি ভোগের জন্য হুমকি দেয় তারা। গ্রামবাসীরা জানান, সালিশির পর থেকেই মেয়েটি নিখোঁজ হয়। পরের দিন মঙ্গলবার সকালে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।উল্লেখ্য, ভারতের গ্রামাঞ্চলে এখনও গ্রাম্য সালিশের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। গ্রাম্য আইন ভঙ্গ করলে প্রায়ই স্থানীয় নেতারা বাসিন্দাদের শাস্তি দিয়ে থাকেন।
চলতি বছরের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে অন্য সম্প্রদায়ের ছেলেকে ভালবাসায়র অপরাধে এক নারীকে গণধণর্ষণের নির্দেশ দেয় গ্রাম্য সালিশি। এ ছাড়া ২০১০ সালে একই জেলায় উপজাতীয় তিন নারীকে জনসম্মুখে নগ্ন করে হাটানোর নির্দেশ দেয় গ্রাম্য সালিশ।