‘টেকসই উন্নয়নের মূল কথা স্বাক্ষরতা আর দক্ষতা’
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, দেশে বর্তমানে নারী শিক্ষিতের হার ৬৬ শতাংশ। বাস্তবে স্বাক্ষরতার হার এর থেকে বেশি হতে পারে। এখনো প্রায় আড়াই কোটি লোক স্বাক্ষরতার বাইরে আছে। আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান তিনি।প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এবারের আর্ন্তজাতিক স্বাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই উন্নয়নের মূল কথা স্বাক্ষরতা আর দক্ষতা’।
দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে স্বাক্ষর ও জীবন দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণের পাশপাশি আধনিক ও কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে ব্যাপক বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে ঝরে পড়ার হার ও বৈষম্য কমেছে। শিক্ষার গুণগতমান বেড়েছে। আমরা দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে বদ্ধপরিকর।’তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবসে ঢাকায় ৩৬টি দেশের প্রতিনিধি সমন্বয়ে শিক্ষা এবং স্বাক্ষরতার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের সাফল্য এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অর্জিত কৃতিত্ব বিষয়ে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগামীকাল সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে আর্ন্তজাতিক সম্মেলনের আয়োজন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্ন্তজাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী ১৪টি দেশের প্রতিনিধিদের হাতে ইউনেস্কো লেটারেচি অ্যাওয়ার্ড তুলে দেবেন।’উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালের ডিসেম্বর মাসে পৃথিবীর সব দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। পরে ১৯৬৫ সালের ৮ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোর উদ্যোগে ইরানের তেহরানে বিশ্ব স্বাক্ষরতা সম্মেলন হয়। এতে ৮০ দেশের শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।’ওই সম্মেলনে প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালনের প্রস্তাব করা হয়। পরে ১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।’১৯৬৬ সালে ইউনেস্কো প্রথম দিবসটি উদযাপন করলেও ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালিত হচ্ছে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী আখতার হোসেন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. জহির উদ্দিন আহমেদ এনডিসি প্রমুখ।