আওয়ামী লীগ কাউকেই বিশ্বাস করে নাঃ হান্নান শাহ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নীতি হচ্ছে কাছে থাকলে বন্ধু আর দূরে গেলে শত্রু। তিনি বলেন, দলটি কাউকেই বিশ্বাস করে না। এক সময় জামায়াতে ইসলামী তাদের বন্ধু ছিল। আর এখন শত্রু। বইয়ের মাধ্যমে সত্য কথা প্রকাশ করায় দলটির ঘনিষ্ট বন্ধু এ কে খন্দকারও এখন তাদের শত্রু।
রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘অ্যামনেস্টি রিপোর্ট : বাংলাদেশে খুন-গুম-অপহরণ-মানবাধিকার ও বিচার ব্যবস্থা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ফ্রি থিংকারস ফোরাম।
হান্নান শাহ বলেন, বিএনপি-জামায়াত বৈঠক করলে তা সরকারের চোখে গোপন বৈঠক। আমি সরকারের কাছে জানতে চাই- এ দল দুটি কি নিষিদ্ধ। যদি তা না হয় তাহলে কিসের গোপন বৈঠক?
তিনি বলেন, আমি তো জেনেছি বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও মামলায় জড়াতে প্রত্যেক থানার ওসিকে বলে দেয়া হয়েছে। আমরাও ক্ষমতায় গেলে এসব ওসিদের সম্পদের হিসাব নেব।
আওয়ামী লীগ সরকার ধাপে ধাপে বাকশাল কায়েমের লক্ষ্যে একটার পর একটা আইন পরিবর্তন করছে বলে অভিযোগ করেন হান্নান শাহ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন শেখ মুজিবের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে। শেখ মুজিবের স্বপ্ন ছিল বাকশাল আর শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, নির্বাচনের কথা বললেই আওয়ামী লীগ নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। তারা জানে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা জামানত ফেরত পাবে না।
মানবাধিকার কমিশনকে উদ্দেশ্য করে হান্নান শাহ বলেন, মানবাধিকার কমিশন দেশের মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা যথাযথভাবে পালন রাখছে না। তাদের উচিত কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সবার পদত্যাগ করা।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার তার বইয়ে প্রত্যেকটি কথা সত্য লিখেছেন। তাতে আওয়ামী লীগের নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে হান্নান শাহ বলেন, সময় আছে জনগণের ভাষা বুঝে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের পতন ঘটানো হবে। তখন পালানোর পথ পাবেন না। অতি দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মোঃ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।