‘সাঈদীর রায় রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন’
নিজস্ব প্রতিবেদক : জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ে রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধে সাঈদীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এর পরপরই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন এ মন্তব্য করেন। এরআগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ে রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। তার প্রতি ন্যায়বিচার করা হয়নি। আপিল বিভাগেও সাঈদী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।’
মাহবুব হোসেন আরো বলেন, ‘রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পাওয়ার পর এর বিরুদ্ধে রিভিউ আপিল করা হবে। এখনো আশা করছি তিনি ন্যায়বিচার ও বেকসুর খালাস পাবেন।’ সকালে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৭ নম্বর অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ বছর এবং ৮ নম্বর অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অধিকাংশ বিচাপতির মতামতের ভিত্তিতে ৬, ১১ এবং ১৪ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। এর এক মাস পর ২৮ মার্চ আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষ। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হয়। মোট ৪৯ কার্যদিবস সাঈদীর আপিলের শুনানি হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান। অপরদিকে, আসামিপক্ষে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান শুনানিতে অংশ নেন।