বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, December 23, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » খালাসের অপেক্ষায় পদ্মা সেতুর নির্মাণ যন্ত্রাংশ

খালাসের অপেক্ষায় পদ্মা সেতুর নির্মাণ যন্ত্রাংশ 

কাইউম খন্দকার,চট্টগ্রাম : পদ্মা সেতুর নির্মাণের কার্যাদেশ পাওয়া চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সেতু নির্মাণ কাজে ব্যাবহারের লক্ষ্যে পাঁচ কন্টেইনার বোঝাই বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানি করেছে। 
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরুর লক্ষ্যে চীন থেকে আমদানি করা এসব স্ট্রাকচারাল যন্ত্রাংশ বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে বলে চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। 

pop
চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির পক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এসব যন্ত্রপাতি খালাসের দায়িত্ব পেয়েছে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এস আই চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানি এবং পান্না ট্রেডার্স।
আমদানিকৃত এসব প্রকৌশল যন্ত্রপাতির আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে সিএন্ডএফ এজেন্টের একটি সূত্রে। প্রথম পর্যায়ে পাঁচ কন্টেইনার যন্ত্রাংশ চট্টগ্রামে বন্দরে পৌঁছালেও দ্বিতীয় চালানে বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের পথে রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
চট্টগ্রাম বন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মৌসুমী সরকার এইদেশ এইসময়কে জানান, চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির আমদানী করা পাঁচ কন্টেইনার যন্ত্রাংশ এক সপ্তাহ আগে চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে ২০০১ সাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৯ কোটি টাকার রাজস্ব পাবে। এজন্য কোম্পানিটির বর্তমান আমদানি করা যন্ত্রাংশের চালান খালাসে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে এখনো বন্দর শেডেই রয়েছে আমদানিকৃত যন্ত্রাংশ বোঝাই কন্টেইনার। 
তবে প্রতিষ্ঠানটি আগামী তিন মাসের মধ্যে কাস্টমসের আগের যাবতীয় বকেয়া শুল্ক পরিশোধের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ফলে দুই এক দিনের মধ্যেই পদ্মা সেতুর জন্য আমদানি করা যন্ত্রাংশ খালাসের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমাদানিকারকের নিযুক্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বিল অফ এন্ট্রি জমা দিলে এসব পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান কাস্টমস কমিশনার।
উল্লেখ্য, ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্র আহ্বানে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয় চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। সেতু নির্মাণে ব্যায় ধরা হয় ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা।
চলতি বছরের ২২ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রতিষ্ঠানকে কাজের অনুমোদন দেওয়ার পর গত ১৮ জুন আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করে সরকার। আনুষ্ঠানিক কার্যাদেশ পাওয়ার পর চায়না মেজর কোম্পানি পদ্মা সেতুর নির্মাণে প্রাথমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি শুরু করে।

সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ শেষ করবে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone