সরকার কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে : কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, সরকার কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশের কৃষি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি লক্ষণীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। প্রতিবছর এক শতাংশ হারে কৃষিজমি হারানো সত্ত্বেও সরকার কৃষি উৎপাদনের মাধ্যমে বিশাল জনগণের খাদ্য চাহিদা পূরণে সমর্থ হচ্ছে।
আজ সকাল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাও হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘ওয়ার্কশপ অন এভিডেন্স-বেজড পলিসি অপসন ফর ফুড এন্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি দারিদ্র্য নিরসনে ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। সরকার ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করে কৃষকদের কাছে সরবরাহ করেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, যে সব দেশ কৃষিতে ভর্তুকি দেয়ার বিষয়ে সমালোচনা করে তারা নিজেদের দেশে এ ধরনের ভর্তুকি কোনো না কোনোভাবে দিয়ে থাকেন। তাই আমরা কৃষি উন্নয়নে কারো পরামর্শ বা সমালোচনার দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে নিজেদের প্রয়োজনে কৃষিতে ভর্তুকি দেব। কৃষিতে ভর্তুকি দেয়ার ফলে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে খাদ্য রপ্তানি করতে সমর্থ হচ্ছে।
এ ছাড়া সারের ভর্তুকি দেয়ার ফলে কীটনাশক আমদানি ১৬৮ কোটি টাকা কমেছে।
খাদ্যশক্তি, প্রাণশক্তি, শ্রমশক্তি ও মেধাশক্তিকে অবিভাজ্য বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদের একটি ছাড়া অপরটি সম্ভব নয়। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে জনগণের প্রাণশক্তি, শ্রমশক্তি ও মেধাশক্তির বিকাশ ঘটছে।
খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোাধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইএফপিআরআই-এর মহাপরিচালক সেনজেন ফন, ইউএসএআইডি’র মিশন ডিরেক্টর জেনিনা জেরুজালেস্কি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের কারিগরি সেশনে কৃষিসচিব ড. এস এম নাজমুল ইসলাম, পিপিআরসির চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান, অর্থনৈতিক সম্পদ বিভাগের সচিব মেসবাউদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কৃষি বিশেষজ্ঞ, খাদ্য বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন।