বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Friday, November 1, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই ঢাকামুখী হচ্ছে কর্মজীবী মানুষ

ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই ঢাকামুখী হচ্ছে কর্মজীবী মানুষ 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদ ও পূজা শেষে কোনো প্রকার ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই লঞ্চে করে ঢাকায় ফিরছে দক্ষিণাঞ্চলের কর্মজীবী মানুষ। সামনে শুক্র ও শনিবার থাকায় আগের মতো মানুষের ঢল দেখা যায়নি ঈদ পরবর্তী এ যাত্রায়। তবে লঞ্চ দেরিতে ঢাকায় ঢোকার জন্য খানিকটা বিরক্তবোধ করেছেন যাত্রীরা।

fr

ঈদ শেষে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঢাকামুখী মানুষেরা

বৃহস্পতিবার সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

সকাল সাড়ে ৬টা। চাঁদপুর থেকে এলো একটি লঞ্চ। যাত্রী খুব একটা বেশি নেই। ভাড়া একটু বেশিই লেগেছে। তবে যাত্রীরা শান্তিমত ফিরতে পেরে খুব খুশি। শিমা নামের এক যাত্রী বললেন, ‘ব্যাংকে জব করি। গতকাল আসতে পারিনি। কিন্তু আজতো অফিস ফাঁকি দিতে পারি না। তাই গভীর রাতেই লঞ্চে উঠেছি। ভাড়া ১০০ টাকা বেশি লেগেছে। তবে শান্তিমত আসতে পেরেছি। কোনো ভিড় ছিল না। সাড়ে তিন ঘন্টার মধ্যেই লঞ্চ সদরঘাটে এসেছে।’

সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে একে একে লঞ্চ এসে ঘাটে ফিরলো ৫০টির মতো। কুলি আর সিএনজি ওয়ালাদের দৌড়াদৌড়ি বুঝিয়ে দিল লোকজন কতটা বেশি। যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নেমে আসা শুরু করলে তিল ধরনের ঠাঁই ছিল না পুরো পল্টুন জুড়ে। গেট দিয়ে স্রোতের মত বের হতে শুরু করলো ঢাকায় ফেরা মানুষেরা। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না এ ভিড়।

কারণ হিসেবে যাত্রীরা বললেন, যাদের তাড়া আছে তারাই আজ চলে আসছে। বেশিরভাগই লোকজন থেকে গেছে যারা শুক্রবার ও শনিবার ঢাকামুখী হবে। ঢাকায় ফেরা রাসেল নামের এক যাত্রী পরিবার নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘বউ-বাচ্চা নিয়ে একটু স্বস্তিতে আসার জন্য আগে-ভাগেই চলে আসলাম। এরপর তো ভিড় বাড়বে। তখন ভোগান্তিও বাড়বে। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় রাঙ্গাবালিতে উঠে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় এলাম। মাঝখানে দুই-তিন জায়গায় যাত্রী ওঠানামা করেছে। তা নাহলে আরো দেড়-দুই ঘন্টা আগে আসতে পারতাম। তারপরেও ঢাকায় ফিরতে পেরে খুশি।’

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পরিদর্শক আলমগীর কবির ভূঁইয়া রাইজিংবিডিকে জানান, আগামী রোববার ঢাকা মোটামুটি সচল হবে। সেই লক্ষ্যে শুক্র ও শনিবার লঞ্চের চাপ বাড়বে। আজও কিছু মানুষ আসলেও তেমন বাঁচা-মরা ভিড় নেই। আর যাত্রীদের কাছে বেশি ভাড়া আদায় করা হয়েছে এমন অভিযোগ বরাবরের মতো অস্বীকার করেন তিনি।

এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকার নিরাপত্তাও জোরদার ছিল। সবখানে ডিএমপি ও জেলা পুলিশের পোশাক পড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

 

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone