ভ্রমণপিপাসুদের ঐতিহ্যবাহী আলতাদিঘি
সালাম জুবায়েরঃ নওগাঁর ধামইরহাটের ঐতিহ্যবাহী আলতাদিঘি জাতীয় উদ্যান এখন পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত। আলতাদিঘি এবং দুইশ’ বছরের পুরাতন শালবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকেরা আসছেন। ধামইরহাটের বনাঞ্চল গত দুই বছর আগে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই মূলত এখানে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় বাড়তে থাকে। যদিও এর উন্নয়ন কাজ এখনও চলছে।
ছবি( মোঃ জাফর ইকবাল)
স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষ করে বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার শালবন ধ্বংস হলেও নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলায় প্রায় ১২০০ বিঘা জমির উপর শালবন অক্ষত রয়েছে। বনের মূল্যবান গাছ চুরি রোধ এবং শালপাতা সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে বনাঞ্চলটি এখন অনেকটাই সংরক্ষিত। এই বনের মধ্যে অবস্থিত সা আলতাদিঘির দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার। দিঘির উত্তরের কিছু অংশ ভারতীয় এলাকা হওয়ায় দর্শনার্থী ও পর্যটকদের ভারতীয় কাটা তারের বেড়া ও দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার দেখার সৌভাগ্য হয়।
জাতীয় উদ্যান ঘোষণার পর ধামইরহাট উপজেলা সদর থেকে বনাঞ্চল ও দিঘি পর্যন্ত পাকা রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। উপজেলা সদর থেকে ভ্যান, বাস, মাইক্রোবাস চলাচল করে।
ভারত সীমান্তের কোল ঘেঁষে অবস্থিত আলতাদিঘি ও শালবনে বিরল প্রজাতির বিভিন্ন প্রকার প্রাণী ইতোমধ্যে অবমুক্ত করা হয়েছে। এগুলো দেখার জন্য বিভিন্ন উপলক্ষ্যে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান। দর্শনার্থী আমান বলেন, এলাকাটি নিঃসন্দেহে বিনোদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত মনে হচ্ছে না। ঈদ মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। পত্নীতলা উপজেলা থেকে আসা জেসমিন সুলতানা বলেন, বন এলাকায় দূরের যাত্রীদের জন্য একটি রেস্ট হাউস থাকলে ভালো হতো। ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা লক্ষণ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, এবার ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে থেকে বিনোদন ও ভ্রমণপিপাসু হাজার হাজার মানুষ শালবনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার বিলুপ্তপ্রায় টমটম গাড়িতেও অনেক দর্শনার্থী আসছেন।
শালবনে অজগর, মেছো বাঘ, গন্ধগোকুল, তক্ষক, বানর, হনুমান, টিয়াসহ বিভিন্ন বিরল প্রজাতির প্রাণী রয়েছে।