১৬ বছর বসয়ীদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে (ইসি)
ডেস্ক রিপোর্টঃ ১৬ বছর বসয়ীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) দেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে তাদের ভোটার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
মেয়েদের বিয়ের বয়স কমিয়ে ১৬ বছর করার উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে কমিশন সূত্র নিশ্চিত করেছে। আগামী ভোটার তালিকা হালনাগাদে এই বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তবে ধারাবাহিকভাবে সব বয়সী নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।তবে কারা ভোটার হতে পারবে এ সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে ভোটারদের বসয়সীমা নির্ধারণ করা আছে। তাই ১৮ বছরের আগে কেউ ভোটার হতে পারবে না। তবে ১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স তারা জাতীয় পরিচয়পত্র পাবে।
ইসি সূত্র আরো জানায়, ১৬ বছর বয়সীদের পরিচয়পত্র দেয়ার লক্ষ্যে যারা ২০১০ সালে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে প্রাথমিকভাবে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ওই সময় তাদের বয়স যদি ১১-১২ বছর ধরা হয় তাহলে এখন হবে ১৫ বছরের বেশি। এতে কমিশনের সময় ও অর্থ দুটোই কম ব্যয় হবে। পরবর্তীতে বয়স অনুযায়ী সবার তথ্য সংগ্রহ করা হবে।এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ভোটার তালিকা হালনাগাদে ১৮ বছরের কম বয়সী নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেইজ তৈরি করা হবে। সেখানে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তারা ভোটার হতে পারবেন। ১৮ বছরের কম বয়সী কেউ ভোটার হতে পারবেন না। তারা শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন। কমিশন সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’এদিকে সরকার বাল্যবিয়ে রোধ করতে বিয়ের বয়সসীমা কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর এবং মেয়েদের ১৬ বছর করা হচ্ছে। এর আগে বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলেদের ২১ বছর এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বয়স নির্ধারণ করা ছিল।অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন দাপ্তরিক কাজে ভোটার আইডিকার্ড বাধ্যতামূলক না করলেও পাসপোর্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, টিন নম্বর পাওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভোটার আইডিকার্ড চাওয়া হচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন সময় নানা জটিলতা সম্মুখীন হচ্ছে মানুষ। এছাড়া বিয়ের বয়স নিয়ে যাতে কোনো ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি না হয় সে জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলেও সংশ্লিষ্টারা মনে করছেন।