ইবোলা ভাইরাস মোকাবেলায় সন্তোষ যুক্তরাষ্ট্রের
নিজশু প্রতিবেদকঃ ইবোলা ভাইরাস মোকাবেলা ও অনুপ্রবেশ বন্ধে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রস্তুতি পরিদর্শন করার পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার যুক্তরাষ্ট্র দলের পরিদর্শনকালে ঢাকায় সে দেশের দূতাবাস কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশে কর্মরত ‘ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’ বিভাগের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিমানবন্দর এলাকা ঘুরে ইবোলা প্রতিরোধের প্রস্তুতি দেখেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোললের পরিচালক বে-নজীর আহমেদ।প্রসঙ্গত, গত মার্চ থেকে প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। এদের অধিকাংশই পশ্চিম আফ্রিকার।
পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলা আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া ও গিনির।গত বছর ডিসেম্বরে ইবোলা সংক্রমণ শুরু হলেও মার্চে তা চিকিৎসকদের নজরে আসে। তবে এর পর যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সাসের ডালাস হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় স্বাস্থ্যকর্মী নিনা পাহমের দেহে ইবোলার ভাইরাস ধরা পড়ে। তিনি লাইবেরীয় নাগরিক থমাস ডানক্যানের চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন।মঙ্গলবারও সে দেশে আরেক স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে ইবোলা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইবোলা নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকায় তারা শাহজালাল বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছে। এ প্রসঙ্গে বে-নজীর আহমেদ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ওই ঘটনা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরের কড়া স্বাস্থ্যপরীক্ষা এড়িয়ে যদি সেখানে ভাইরাস ঢুকতে পারে, তাহলে বিশ্বের যে কোনও দেশেই এটি ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশেও তাদের নাগরিক রয়েছে। তবে ঢাকায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি দেখে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।সম্প্রতি শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে ইবোলা আক্রান্ত ছয় বাংলাদেশি লাইবেরিয়া থেকে দেশে আসেন। তাদের ব্যাপারে গণমাধ্যমে আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিবেদন ছাপানো হয়। এ প্রসঙ্গে বে-নজীর আহমেদ বলেন, তারা সুস্থ অবস্থাতেই দেশে ফিরেছেন। বিমানবন্দরে তাদের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে। ইবোলার উপস্থিতির কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি।তিনি আরো বলেন, লাইব্রেরিয়া থেকে সরাসরি বাংলাদেশে আসার কোনো ফ্লাইট নেই। দেশে ফিরতে ওই ছয় বাংলাদেশিকে মরক্কো ও আলজেরিয়ার বিমানবন্দর হয়ে আসতে হয়েছে। তাই সেখানেও তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছে।