অস্ত্র ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায়
ডেস্ক রিপোর্ট : সিরিয়ার কুর্দি-অধ্যুষিত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কোবানি শহরে মার্কিন যুদ্ধ বিমান থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও চিকিৎসার সরঞ্জাম ফেলা হয়েছে। কোবানিতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত কুর্দি যোদ্ধাদের সহায়তায় করতে নতুন এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, সি-১৩০ নামের মার্কিন পরিবহন বিমান থেকে সিরিয়ার তুরস্ক সীমান্তবর্তী শহর কোবানিতে কুর্দি যোদ্ধাদের জন্য বিমান থেকে একাধিকবার ত্রাণ সামগ্রীর পাশাপাশি অস্ত্রও ফেলা হয়েছে। তবে এ সহায়তাসামগ্রীগুলো সরবরাহ করেছে ইরাকের কুর্দি কর্তৃপক্ষ।
শহরটি দখল হয়ে যাওয়া ঠেকাতে আইএসের বিরুদ্ধে কুর্দি যোদ্ধাদের প্রতিরোধ যুদ্ধ সচল রাখতে এই সহায়তাসামগ্রী ফেলা হয়েছে। মার্কিন বিমান হামলার কারণে কোবানি থেকে আইএস জঙ্গিদের হটাতে অনেকটাই সফল হয়েছে কুর্দি বাহিনী।
সংবাদদাতা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে মিত্র তুরস্ক ক্ষুব্ধ হতে পারে। কারণ দেশটি কয়েক দশক ধরে উগ্রবাদী কুর্দি গোষ্ঠী পিকেকের সন্ত্রাসী তৎপরতা মোকাবিলা করছে। আগের দিন রোববার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তায়েপ এরদোগান কুর্দি বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি কখনো মেনে নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
কোবানি বর্তমান কাদের দখলে রয়েছে তা নিশ্চিত নয়। আইএসের দাবি, তারা শহরটির অর্ধেক নিজেদের দখলে নিতে সক্ষম হয়েছে। অপরদিকে কুর্দি যোদ্ধাদের দাবি, মার্কিন বিমান হামলার সুযোগ নিয়ে কোবানির বেশির ভাগ এলাকা থেকে আইএসকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা দখলে রেখেছে আইএস জঙ্গিরা।
তথ্যসূত্র : বিবিসি।