পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ভোগান্তি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশজুড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও কমছে না পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ভোগান্তি। মৌসুম ভেদে গ্রাহকদের পাঁচ থেকে দশ ঘন্টা পর্যন্ত লোডশেডিং সহ্য করতে হচ্ছে। তবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড জানায়, গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সিস্টেম লসের কারণে পল্লী এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।এদিকে, প্রতিষ্ঠানটিতে কারিগরি ক্ষেত্রে অযোগ্যদের আধিপত্যকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে সাভারের আমিনবাজার মুগরাকান্দা গ্রামের বাসিন্দাদের নানা অভিযোগ। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন এই গ্রামে মৌসুম ভেদে বিভিন্ন মাত্রায় লোডশেডিং সহ্য করতে হয় গ্রাহকদের।গ্রাহক ভোগান্তির কথা স্বীকার করলেও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দাবি, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা বাড়ছে।
বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দেশজুড়ে প্রায় এক কোটিরও বেশি মানুষকে বিদ্যুৎ সেবা দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রতি বছর জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে সেই তুলনায় গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েই কাজ করতে হচ্ছে তাদেরকে।পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন বলেন, ‘সেচ মৌসুমে চাহিদা থাকে বেশি, আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে, এর মাঝেই আমরা প্রচুর বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি, আর যারা বিদ্যুৎ চুরি থেকে শুরু করে অসৎ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের ব্যপারে গ্রাহকদের সজাগ থাকতে হবে’।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, অদক্ষ ব্যাক্তিদের হাতে কারিগরি ক্ষমতা থাকায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড তার মূল লক্ষ্য হারাতে বসেছে। আর এটাই সমগ্র বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ভোক্তা অসন্তোষের কারণ।এ প্রসঙ্গে ড. এম শামসুল আলম বলেন, ‘কারিগরি সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি আরইবি, কারিগরি সক্ষমতা বাড়ানো গেলে আরইবি গ্রাহক সেবা আরও বাড়াতে পারতো’।মাঠ পর্যায়ে ভোক্তা সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে এবং দক্ষ কারিগরদের মাধ্যমে নজরদারি করে ভোক্তাদের দুর্ভোগ অনেকাংশে কমানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।