কারো গায়ে হাত দিলে জনগণই গণধোলাই দেবেঃখালেদা জিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট : ‘আওয়ামী লীগ জানে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলে তাদের কী পরিণতি হবে’ মন্তব্য করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আমাদের কারো গায়ে হাত দিতে হবে না। জনগণই গণধোলাই দেবে। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে নিজেরাই রাস্তায় নামবে। সে জন্যই তারা ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে চায়। খালেদা জিয়ার আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এখন তারা দেশের একটা মানুষের গায়ে হাত দিয়ে দেখুক, এর পরিণতি কেমন হয়।’
এই প্রসঙ্গে সোমবার রাতে এক মতবিনিময় সভায় খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের বিএনপি-সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মেয়রদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা হয়। সরকারের নানা ক্ষেত্রে দুর্নীতির কথা তুলে ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, এখন পদে পদে দুর্নীতি, একদিন এর জবাব দিতে হবে। কোনো এক সময় এর জবাব দিতে হবে বলে তারা (সরকার) দায়মুক্তি নিচ্ছে। সরকারের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সংসদ, আদালত, মন্ত্রিসভা যেখান থেকে করো দায়মুক্তি হবে না। সম্পদ আত্মসাতের জন্য দায় নিতে হবে, সাজা ভোগ করতে হবে।’ খালেদা জিয়া বলেন, পদ্মা সেতু দুর্নীতির মামলায় বিচার চলছে, কিন্তু তাঁরা দায়মুক্তি নিয়ে বসে আছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাঁদের দায়মুক্তি সার্টিফিকেট দিচ্ছে। এ সরকার সব প্রতিষ্ঠান শেষ করে দিয়েছে। সিভিল প্রশাসন কোনো কাজ করতে পারছে না। ৭০০ কর্মকর্তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে রেখেছে, আর নিজেদের লোকদের ডাবল প্রমোশন দিচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে তারা ‘আকাম-কুকাম’ করাচ্ছে। জোর করে ছেলেদের ধরে থানায় নিয়ে গিয়ে পায়ে গুলি করছে। এর আগে কখন এমন হয়নি। তাদের নির্যাতন দেখে মানুষ অবাক হয়ে যায়। বিচার বিভাগ অসহায় হয়ে পড়েছে দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিচারকেরা নিরপেক্ষভাবে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না। বিচার কী হবে তাও বলে দেওয়া হয়। এর পরও বিচারকদের হাতে রাখার জন্য অভিশংসন আইন করা হয়েছে।’ বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সরকার কথায় কথায় জঙ্গিবাদের কথা বলে। এই জঙ্গিবাদের শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘শায়খ আবদুর রহমান কার বোনের জামাই? তাদের সঙ্গেই জঙ্গিবাদের সম্পর্ক।’ তিনি দাবি করেন, বিএনপি জঙ্গিবাদ দমন করেছে। বিএনপির বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান সারোয়ার, খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।