ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের ডিজিএমসহ ৫ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সোনালী ব্যাংকের ৯টি শাখা থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপকসহ (ডিজিএম) পাঁচ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। দুদকের জেষ্ঠ্য উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বাধীন একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ জিজ্ঞাসাবাদ বিকেল পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন—সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিসের বৈদেশিক বিনিময় বিভাগের (রফতানি শাখা) ডিজিএম ফারজানা চৌধুরী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার (এসইও) আশরাফুল হায়দার চৌধুরী, এসইও কাজী এনামুল হক, সিনিয়র অফিসার মিজানুর রহমান ও অ্যাসিট্যান্ট অফিসার মো. মমিন ভূঁইয়া।কমিশন সূত্র জানায়, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলার অমান্য করে নগদ সহায়তার নামে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা, বৈদেশিক বাণিজ্য কর্পোরেট শাখা, গুলশান শাখা, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ করপোরেট শাখা, আগারগাঁও শাখা, সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিস, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ করপোরেট শাখা, লালদীঘি করপোরেট অফিস ও নারায়ণগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে এই সাত হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনা ঘটে।২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই ৯টি শাখায় পরিচালিত ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন পরিদর্শন ও তদন্ত প্রতিবেদন থেকে অর্থ আত্মসাতের এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। বৈদেশিক বাণিজ্যের নামে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে ও অন্যান্য উপায়ে অনিয়ম করা হয়েছে।এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা, লোকাল অফিস ৬০০ কোটি, আগারগাঁও শাখা ১৪১ কোটি, গুলশান শাখা ২৮১ কোটি, বৈদেশিক বাণিজ্য করপোরেট শাখা প্রায় ৩ কোটি, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কর্পোরেট শাখা ২৫০ কোটি, আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখা প্রায় ৪০০ কোটি, চট্টগ্রামের লালদীঘি করপোরেট শাখা ও নারায়ণগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ঋণের নামে লোপাট করা হয়েছে।