গণতন্ত্র হুমকির মুখেঃ ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, জাতি এই মু হূর্তে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। সঙ্কট উত্তরণ ও জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপি আন্দোলন করছে। আজকের সংগ্রাম স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় ভোটের অধিকার রক্ষার সংগ্রাম। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী দানবীয় সরকারকে সরাতে হবে। ভাষাসৈনিক আবদুল মতিনের স্মরণে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ভাসানী স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা এমন একটি সময় পার করছি যখন মানুষের মৌলিক অধিকার বলতে কিছু নেই। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার নেই, নিজের মত প্রকাশ এমনকি কথা বলার অধিকারও হারিয়েছে মানুষ। আমরা একটি নষ্ট সময় পার করছি। আগে যা গণতন্ত্র বলে জেনেছি, এখন তা ভিন্ন। জনগণের কল্যাণের কথা বলে গণতন্ত্রের নামে জনগণের গলা টিপে ধরা হয়েছে। মির্জা আলমগীর অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও কার্যত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন দীর্ঘস্থায়ী করতে চায়। তারা ক্ষমতার দম্ভে সবাইকে জিম্মি করে রেখেছে। ফলে দেশ এখন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে পড়েছে। মির্জা আলমগীর বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ব্যর্থ হয়নি। কারণ ওই নির্বাচনে বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এখনও সীমিত সামর্থ্যে দল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সেই আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে বিনা ভোটে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চায় যা এদেশের জনগণ অতীতেও মেনে নেয়নি, কখনও মেনে নেবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ভাষা মতিন মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, সাধারণ মানুষের জীবিকার নিশ্চয়তার জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে গেছেন। সংগ্রাম করেছেন। আমাদের মাঝ থেকে মতিন ভাই চলে গেছেন, আমরাও তার আদর্শ থেকে সরে গেছি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একজন ছাড়া কাউকে চেনে না, সম্মানও দেয় না। তাদের কাছ থেকে সম্মান আশা করা যায় না। ভাষাসৈনিক আবদুল মতিনকে সরকার রাষ্ট্রীয় সম্মান না জানালেও জনগণ তাকে সম্মান জানিয়েছে। এদিকে স্মরণসভা চলাকালে জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় নিয়ে সাংবাদিকরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে চিরকুট দিলেও তিনি কোন মন্তব্য করেননি। পরে স্মরণসভা শেষে সাংবাদিকরা তার প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ঘিরে ধরে প্রশ্ন করলেও তিনি পাশ কাটিয়ে চলে যান। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল হক মিলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও আবদুল মতিনের সহধর্মিণী গুলবদন্নেসা মনিকা বক্তব্য দেন।