কিভাবে ধরবেন ল্যাপটপ চোর!
প্রযুক্তি ডেস্কঃ সেলফোন হারিয়ে গেলে তা খুঁজতে ‘আইএমই’ নম্বর নিয়ে আমরা অনেকেই হাজির হই নিকটবর্তী থানায়। কিন্তু ল্যাপটপ হারিয়ে গেলে হাতগুটিয়ে বসে থাকা গত্যন্তর নেই এমনই ধারণা প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু এই ধারনাটা পুরোপুরি ঠিক নয়। এক্ষেত্রেও উপায় রয়েছে।এক্ষেত্রে ল্যাপটপের সিরিয়াল ও মডেল নম্বর সংরক্ষণের পাশাপাশি দুইটি আগাম ব্যবস্থাপত্র অনুসরণ করা যেতে পারে।
১. লোকেশন সেটিংস সেট করা
ল্যাপটপের ‘লোকেশন সেন্সর’ প্রোগ্রামটি সচল করে রাখুন। এর ফলে চোর ল্যাপটপটিতে ইন্টারনেট সংযোগ করলে মুহূর্তেই ই-মেইলে খবরটি পেয়ে যাবেন আপনি। এজন্য ল্যাপটপের স্টার্ট মেনুর সার্চ অপসনে গিয়ে ‘লোকেশন সেটিংস’ এনাবল করতে হবে। লোকেশন ট্র্যাকার ল্যাপটপের অবস্থান নির্দিষ্ট করার পাশাপাশি চোরের ছবিও পেতে হলে পিসিতে ইনস্টল করতে হবে সংশ্লিষ্ট একটি সফটওয়্যার।
২. এন্টি-থেফট অ্যাপ ইনস্টল
খোয়া যাওয়া ল্যাপটপ শনাক্ত ও চোরকে পাকড়াও করতে এবার ইনস্টল করে রাখুন ‘প্রে’ এর মতো কোনো একটি প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে খুব সহজেই ওয়েব থেকে আপনি পিসির ওয়েবক্যাম চালু করে ব্যবহারকারীর কর্মকাণ্ড জানতে পারবেন। স্ক্রিনশট নিয়ে এই ছবি ও তার কাজ সংরক্ষণ করতে পারবেন নিজের ই-মেইলে। ‘প্রে’ প্রোগ্রামটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে https://preyproject.com/।
৩. শনাক্তকরণ তথ্য
ল্যাপটপ শনাক্ত ও এর তথ্য নিরাপত্তার জন্য এর সিরিয়াল এবং মডেল নম্বরটি সংরক্ষণ করে রাখনু। হারিয়ে যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এটি শনাক্তকরণের জন্য এই নম্বরগুলো আপনাকে যথেষ্ট সাহায্য করবে। এছাড়াও সম্ভব হলে ল্যাপটপের ভেতর হার্ডওয়্যারের ওপর স্থায়ী মার্কার দিয়ে নিজের নামটি লিখে রাখতে পারেন। অথবা র্যা মের ওপর বিশেষ চিহ্ন এঁকে রাখা যেতে পারে। একইভাবে ড্রাইভগুলোর নাম পরিবর্তন করে এবং এর জন্য শক্ত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলেও এটি ব্যবহারে বেগ পেতে হবে চোরকে।