বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » খেলা » মুশফিক-সাকিবদের ইতিহাস গড়ার হাতছানি

মুশফিক-সাকিবদের ইতিহাস গড়ার হাতছানি 

স্পোর্টস ডেস্ক : আর মাত্র ৯ টি উইকেট। তাহলে ইতিহাসের পাতায় বন্দী হয়ে যাবেন মুশফিক-মুমিনুলরা। থাকবেন সাকিব-তামিমরাও। ইতিহাসের পাতা যতবার উল্টানো হবে ততবারই মুশফিক-সাকিব-তামিম ও মুুমিনুলকে স্মরণ করবে বিশ্ব। টেস্ট ক্রিকেটে ১৫ বছরে পা দিয়েছে বাংলাদেশ। এই ১৫ বছরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে তিন বার। এবার খেলছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এর আগে ২০০৩ সালে পাকিস্তান ও ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।  আগের দুবারই হোয়াইট-ওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। ঢাকা ও খুলনা টেস্ট জিতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ এগিয়ে বাংলাদেশ।  চট্টগ্রাম টেস্টে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট-ওয়াশ করলে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইট-ওয়াশ করবে বাংলাদেশ। একই সাথে দেশের মাটিতে হবে এটা প্রথম হোয়াইট-ওয়াশের কীর্তি।  এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইট-ওয়াশ করে টাইগাররা।বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ৪৪৯ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে চতুর্থ দিন শেষে ১ উইকেটে ৭১ রান সংগ্রহ করে। জয়ের থেকে বাংলাদেশ  ৯ উইকেটে এবং জিম্বাবুয়ে ৩৭৮ রানে পিছিয়ে আছে।

musfiq-1416051132

এর আগে ১২৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ।  ৫ উইকেটে ৩১৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন মুশফিক। মোট লিড ৪৪৮। শনিবার ২৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন তামিম-মুমিনুল। স্কোরবোর্ডে ১৩ রান যোগ করতেই উদ্ধোধনী জুটি ভাঙেন পানিয়াঙ্গারা। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন তামিম-মুমিনুল। ১১৩ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান।  এ সময় অর্ধশতক তুলে নেন এই দুই বাহাতি ব্যাটসম্যান। অর্ধশতকের পরই খেই হারিয়ে ফেলেন তামিম। ১৪২ বলে ৬৫ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। ৪টি বাউন্ডারি হাঁকান ঘরের ছেলে তামিম। তার বিদায়ের পর ২৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ।

এক প্রান্তে সঙ্গী হারালেও মুমিনুল ছিলেন অবিচল। ইনিংসটি বড় করতে থাকেন তিনি। সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন। এ সময়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ও চট্টগ্রামের মাটিতে তৃতীয় শতক তুলে নেন। মুমিনুলের শতকের পর সাকিব ১৭ রানে বিদায় নেন। এরপর ক্রিজে এসে জিম্বাবুয়ের বোলারদের কড়া শাসন করেন মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে মুমিনুল-মুশফিক ৫০ বলে ৭১ রান করেন। সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন মুশফিকই। সিকান্দার রাজার বলে আউট হবার আগে ৩০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রান করেন।

দলীয় ৩০৮ রানে মুশফিকের বিদায়ের পর ১১ রান যোগ করতেই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ১৮৯ বলে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। এটি টেস্ট ক্রিকেটে তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। এর আগে এই মাঠেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮১ রান করেছিলেন তিনি। মুমিনুলের সঙ্গে ৩ রানে অপরাজিত থাকেন শুভাগত হোম। প্রায় অসম্ভব লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। রুবেলের বলে ব্রায়ান চারি রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডাব্লিউর শিকার হন। যদিও ডিআরএস সিস্টেমে দেখা যায় বল উইকেটে না লেগে লেগ সাইড দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল।  তবে দিনের প্রান্তে আর কোনো উইকেট হারায়নি তারা। ৭১ রানে দিন শেষ করে সফরকারীরা। সিকান্দার রাজা ৪৩ ও হ্যামিলটন মাসাকাদজা ২৩ রানে অপরাজিত আছেন।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone