আন্দোলনে যাচ্ছে ছাত্রদলের বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তিন নেতাকে বহিষ্কার ও সাত জনকে কারণ দর্শানোর মধ্যেই নতুন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতিহীন আন্দোলনে যাচ্ছেন ছাত্রদলের বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা। রোববার সকাল ১১টা থেকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আবারো অবস্থান কর্মসূচিতে যাচ্ছে সংগঠনটির ওইসব নেতাকর্মী। তবে এবার আগের দুই দাবির সঙ্গে তিন নেতার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের দাবিও যুক্ত হচ্ছে।
শনিবার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে ছাত্রদলের ‘বিদ্রোহী’ নেতাকর্মীরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ পর্যায় সমস্যার কোনো সমাধানের পরিবর্তে তিন জনকে বহিষ্কার করেছে। মূলত এ্যানী-টুকু ‘ষড়যন্ত্রে’ এই কাজ হয়েছে। তাই ছাত্রদলকে বাঁচাতে এবং দলকে ‘দালাল’ মুক্ত করতে আন্দোলনে যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর রাজিব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ জানিয়ে আসছেন ‘বিদ্রোহী’ এসব নেতাকর্মী। একই সঙ্গে তারা-বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি করছেন।
এক মাসের আন্দোলনে পক্ষে-বিপক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এর জের ধরে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত ও বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা গত ৭ নভেম্বর রাজধানীর নভোথিয়েটারের সামনে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর গাড়িতে হামলা করে।
এরই মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদলের প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন এবং প্রাক্তন সহ-সভাপতি আবু সাঈদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদও সংগঠনটির বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজকে বহিষ্কার করে।
তিন নেতাকে বহিষ্কারের পাশাপাশি সংগঠনের প্রাক্তন সহ-সভাপতি জাভেদ হাসান স্বাধীন, তরুণ দে, প্রাক্তন যুগ্ম সম্পাদক তরিকুল ইসলাম টিটু, ফেরদৌস আহমেদ মুন্না এবং প্রাক্তন সহ-সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রয়েলকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়। এ ছাড়া ছাত্রদলের চকবাজার থানা শাখার সভাপতি নাহিদুল ইসলাম নাহিদ এবং ছাত্রদলের চকবাজার থানা শাখার প্রাক্তন সভাপতি জাকির হোসেন বাবুকেও স্বশরীরে ছাত্রদলের অফিসে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
গত মঙ্গলবার ওইসব নেতা বিএনপি ও ছাত্রদলের কার্যালয়ে পৃথকভাবে এসে তাদের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। একই সঙ্গে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে ওইদিন বিক্ষোভ দেখান সংগঠনটির কমিটি প্রত্যাখ্যান করে আসা বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা।