সনদ জালিয়াতির অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রীর
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রোববার ঘটা করে তার মন্ত্রিসভার আকার বাড়িয়েছেন। ২১ নতুন মুখও ঠাঁই পেয়েছে তার বহরে। তাদের একজন হচ্ছেন অধ্যাপক আরএস কাঠেরিয়া। জুনিয়র মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। দায়িত্ব পান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। সেই অধ্যাপক কাঠেরিয়ার বিরুদ্ধেই সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, আজ থেকে ঠিক ১২ দিন পরই তাকে দাঁড়াতে হচ্ছে কাঠগড়ায়। আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি নিতে গিয়ে তিনি এই জালিয়াতি করেন।অভিযোগে বলা হয়েছে, বিএ ক্লাসের দ্বিতীয় বর্ষে সনদে এই জালিয়াতি করেন কাঠেরিয়া
ওই বছরের পরীক্ষায় তিনি হিন্দি সাহিত্যে ৪৩ এবং ইংরেজি ভাষায় ৪২ নম্বর পান। কিন্তু আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি নিতে গিয়ে জাল সনদে ওই দুই বিষয়ে লিখেন যথাক্রমে ৫৩ ও ৫২।কাঠেরিয়ার বিরুদ্ধে মাস্টার্সেও সনদ জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, এখানে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় প্রিন্সিপলস অব লিটের্যারি রাইটিংয়ে তিনি পান ৩৮ নম্বর। জালিয়াতি করে সেখানে লিখেন ৭২।তার বিরুদ্ধে ভারতের প্যানেল কোডের ৪২০ ধারা অনুযায়ী ‘প্রতারণা ও অসততার’ অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। দণ্ডিত হলে মন্ত্রিত্বও হারাবেন। কয়েক বছরের জন্য নির্বাচনেও অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন।অধ্যাপক কাঠেরিয়া অবশ্য নিজেকে রক্ষা করতে রাজনীতিকেই বর্ম হিসেবে বেছে নিয়েছেন।এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে জাতীয় নির্বাচনে তার কাছে হেরে যাওয়া বহুজন সমাজবাদী পার্টির এক নেতা প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ওই মামলা করেন। উত্তর প্রদেশের মায়াবতী সরকার অভিযোগ নিয়ে তদন্তও করেন। কিন্তু তদন্তে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’এ নিয়ে ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দ্বিতীয় কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠলো। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সনদ নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছিল।এদিকে বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয় কি-না তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।