গণতন্ত্র না থাকলে দেশ এগোতো না: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গণতন্ত্র না থাকলে দেশ এগোতো না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রোববার দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। দুটি আন্তর্জাতিক সংসদীয় ফোরামের স্বীকৃতির পরও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে যারা এখনো সমালোচনা করছেন তাদেরকে ‘অর্বাচীন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শুধু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই করেনি, গণতান্ত্রিক বিশ্বকে নেতৃত্বও দিচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে যারা কথা বলেন দুটি আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক সংস্থার নির্বাচনে বাংলাদেশের সংসদের দুজন নির্বাচিত হওয়ায় তার জবাব দেওয়া হয়েছে। এরপরেও যারা কথা বলছেন আমি মনে করি তারা অর্বাচীন। গণতন্ত্র সম্পর্কে তাদের ধারণা নেই।
রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন
।
তিনি দুজন বিজয়ীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ আজ গণতান্ত্রিক বিশ্বের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বানচালের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল। নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা হয়েছিল। এ ষড়যন্ত্র যে শুধু দেশেই ছিল তা নয়। এ চক্রান্তের মধ্যই নির্বাচন করেছি। জনগণ আমাদের সমর্থন দিয়ে বিজয়ী করেছিল বলেই আজ আমরা এ দুটি পদে বিজয়ী হতে পেরেছি।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের ঢাল-তলোয়ার নিয়ে মাঠে নামের হুমকির বিষয় ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ঢাল-তলোয়ার নিয়ে নামুক আর যা খুশি তাই নিয়ে নামুক না কেন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে কেউ থামাতে পারবেৱ না। এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ শুধু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই করেনি। গণতান্ত্রিক বিশ্বের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ ধারা আমরা অব্যাহত রাখবো। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সংস্থা থেকে তিন তিন বার যে দেশ সদস্য পদ হারায়, সেই দেশই আজ নেতৃত্ব দিচ্ছে। জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা বিজয়ী হয়েছিলাম। আমরা বিজয়ী জাতি। আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। আত্মবিশ্বাস না থাকলে কেউ এগিয়ে যেতে পারে না। আমাদের সেই আত্মবিশ্বাস আছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে দেশ এগোতো না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।