ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ফেলানীর বাবা
ডেস্ক রিপোর্টঃ সাক্ষ্য দিয়ে দেশে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ফেলানীর বাবা। ফেলানী হত্যাকান্ডের পুনর্বিচারের সাক্ষ্য দিতে রোববার ভারতে যান ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামসহ তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।সোমবার রাতে তার সঙ্গে ফিরেছেন ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এটিএম হেমায়েতুল ইসলাম এবং কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকনও।রাত সাড়ে আটটায় ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর হয়ে তারা লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে ঢোকেন।অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের কুচবিহার জেলার বিএসএফের সেক্টর সদর দপ্তরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ফেলানীর বাবার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন সাত সদস্যের বিচারক প্যানেল।বিচারক, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। জেরার উত্তরে নুরুল ইসলাম সব ঠিকঠাক বলেছেন বলে আব্রাহাম লিংকন জানান।“ফেলানীর বাবা আদালতকে বলেছেন, আমি অনেক দিন ভারতের নিমক খেয়েছি। তাই এই দেশের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ বিএসএফ জওয়ান অমিয় ঘোষের বিরুদ্ধে।ফেলানী হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষও আদালতে ছিলেন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সময় তার গুলিতেই ফেলানী নিহত হন বলে অভিযোগ।আদালতে ফেলানীর বাবাকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি ও ফেলানীর মা ভারতে ছিলেন কি না? ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় ফেলানীকে গুলি করতে তিনি (বাবা) দেখেছিলেন কি না?
নুরুল ইসলাম বলেন, “অনেক প্রশ্ন করেছে সব উত্তর দিয়েছি। আমার চোখের সামনে ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে, তাও বলেছি। “আদালতে উপস্থিত ঘাতক অমিয় ঘোষকে আমি চিনতে পেরেছি। এরপরও ন্যায়বিচার না পেলে খুব কষ্ট পাব। আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে না।”আব্রাহাম লিংকন বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে এই আদালতের কাজ শেষ। এখন রায়ের অপেক্ষা।”উল্লেখ্য, ২