বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » ভারতের সবচেয়ে বেশি দাস!

ভারতের সবচেয়ে বেশি দাস! 

ডেস্ক রিপোর্ট : অর্থনীতি, প্রযুক্তি, শক্তি-সক্ষমতায় এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে উদীয়মান অর্থনীতির এ দেশটি। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো, সবচেয়ে বেশি লোক দাস হিসেবে জীবনযাপন করে ভারতে। প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু সব মিলে দেশটিতে এ সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লাখ!দাসবিরোধী অভিযান পরিচালনাকারী অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক সংগঠন ওয়াল্ক ফ্রি গতকাল সোমবার এ সম্পর্কিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬৭টি দেশে এখনো দাস প্রথা চালু রয়েছে। সারা বিশ্বে দাস হিসেবে জীবনধারণ করে এমন মানুষের সংখ্যা তিন কোটি ৫৮ লাখ

das

প্রাপ্তবয়স্ক ছাড়াও শিশুদেরও দাস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক এ বিশ্বে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সংখ্যার দিক থেকে ভারতের পর সবচেয়ে বেশি দাস চীনে। এরপর রয়েছে পাকিস্তান ও উজবেকিস্তানের নাম রয়েছে শীর্ষে। তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছে রাশিয়ার নাম।তবে দেশের মোট জনসংখ্যার হিসেবে দাসত্বের শতকরা হার সবচেয়ে বেশি মৌরতানিয়ায়। দেশটিতে দাসের হার মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশ। শতকরা হিসাবে মৌরতানিয়ার পর উজবেকিস্তানে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ, হাইতিতে ২ দশমিক ৩ শতাংশ ও কাতারে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। শতকরা হিসেবে ভারতে দাস রয়েছে ১ দশমিক ১৪ শতাংশ। বাংলাদেশে সাত লাখ লোক দাস হিসেবে জীবনযাপন করে।ওয়াল্ক ফ্রি আধুনিক সমাজব্যবস্থার আলোকে দাসের সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে। সংগঠনটির সংজ্ঞা অনুযায়ী জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা, ঋণের জালে বন্দি, পাচার বা বেচাকেনা, টাকার বিনিময়ে যৌন নিপীড়ন বা পতিতাবৃত্তি এবং জোরপূর্বক বিবাহ প্রভৃতি শ্রেণির লোককে দাস হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

সংগঠনটির প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলো দাস ব্যবস্থা বিলুপ্তকরণে চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। তবে আধুনিক ইউরোপেও দাসত্বের উপাদান রয়েছে। আফ্রিকায় এমন অনেক লোক রয়েছে যারা বংশগতভাবে দাসত্বের বন্ধনে রয়ে গেছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বিশ্বে বর্তমানে দাসের সংখ্যা তিন কোটি ৬০ লাখ। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। দাস ব্যবস্থা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেছে সংগঠনটি। সেই সঙ্গে প্রতিটি দেশের সরকারের প্রতি এ ব্যাপারে আইন ও জরিমানার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তথ্যসূত্র: নিউজউইক, গার্ডিয়ান, বিবিসি।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone