যে কাজের জন্য কখনোই ক্ষমা চাইবেন না!
লাইফস্টাইল ডেস্ক : অবাক লাগছে শিরোনাম পড়ে? ভাবছেন স্বার্থপর হওয়া তো খুব খারাপ, তাহলে কেন স্বার্থপর কাজের জন্য দুঃখিত হবেন না বা ক্ষমা চাইবেন না? তাহলে জেনে রাখুন, জীবনে কিছু স্বার্থপরতা খুব জরুরী নিজের ভালোর জন্য। হ্যাঁ, হয়তো না চাইলেও কিছু স্বার্থপর কাজ জীবনে কমবেশি আমাদের সবাইকেই করতে হয়। তবে কিছু কাজ এমনও আছে, যেগুলো করে কখনো পস্তাতে হয় না বা ক্ষমা চাইতে হয় না। আসুন জেনে নিই সেগুলোর তালিকা।
১) “না” বলা
নিজের সাধ্যের বাইরে, নিজের ক্ষতি করে “হ্যাঁ” বলার চাইতে “না” বলাটা অনেক স্বস্তির। একজন মানুষের পক্ষে সর্বদা সবকিছু করা সম্ভব হয় না, তা সে জীবনে হোক বা কর্মক্ষেত্রে বা সম্পর্কে। তাই “না” বলতে শিখুন। কারো অন্যায় আবদারে, পরিবারের অহেতুক চাপে কিংবা নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করতে হলে- “না” যে ক্ষেত্রেই বলছেন না কেন, সেটা নিয়ে মনের মাঝে কোন চাপ রাখবেন না।
২) জলদি ঘুমিয়ে পড়া
আপনার বা বন্ধুদের বন্ধুদের একটা নাইট লাইফ আছে? প্রায়ই হয়তো তাঁরা ঘুরতে যাচ্ছেন, অনেক রাত অবধি বেড়াচ্ছেন, কিংবা টিভি দেখছেন মজা করে। আপনি সেসব কিছুই করছেন না, আপনার অফিস হয়তো খুব সকালে। এই বিষয়টি নিয়েও কখনো মন খারাপ করবেন না বা সময় দিতে পারছেন না বলে কাউকে সরি বলতে যাবেন না। বরং এই অভ্যাসটি সকল রাজ জাগা মানুষদের চাইতে আপনাকে বেশি সুস্থ রাখবে।
৩) ছুটি কাটানো
হ্যাঁ, ছুটি কাটাতে বেশ অর্থকড়ি খরচ হয়। আবার যারা খুব ক্যারিয়ার সচেতন, তাঁরা কাজ ফেলে ছুটি কাটাতেও চান না। হয়তো অফিসে বসও নাখোশ হন। তবে যত যাই হোক না কেন, কাজ হতে নিজেকে ছুটি দেয়ার প্রয়োজন আছে। দূরে কোথাও বেড়াতে যাবারও আছে। জীবনীশক্তি বাড়াতে এসব কাজের কোন তুলনা নেই।
৪) বিষাক্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে
যে ভালোবাসা কিংবা বন্ধুত্বের সম্পর্ক কেবল আপনার ক্ষতি করে যাচ্ছে, যে সম্পর্কগুলো থেকে আপনি কষ্ট ছাড়া কিছুই পাচ্ছেন না, সেগুলো ধরে রাখার অহেতুক চেষ্টা করবেন না। একটাই জীবন, অহেতুক কষ্ট পুষে লাভ নেই। এমন সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য কখনোই অপরাধবোধে ভুগবেন না।
৫) একটু একলা সময় খুঁজলে
হ্যাঁ, হয়তো আপনি একজন সুগৃহিণী এবং মা, কিংবা আপনি একজন দায়িত্বশীল পিতা ও স্বামী। কিন্তু তাঁর অর্থ এই নয় যে আপনার একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার অধিকার নেই। নিজের কর্ম ও সাংসারিক জীবন থেকে দূরে সকলেরই অধিকার আছে একটু খানি নিরিবিলি সময় কাটানোর নিজের সাথে। আর এতে আপনি খারাপ মানুষ হয়ে পড়েন না মোটেও। তাই পরিবার বা কাজের সাথে অন্যায় করছেন ভেবে দুঃখিত হবেন না।
৬) নিজের কথা আগে ভাবা
নিজের কথা ভাবাটা খুব স্বার্থপরতা মনে হয়? তাহলে জেনে রাখুন, পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই নিজের কথা সবার আগে ভাবেন। তাই এসব মানুষদের ভিড়ে আপনি যদি নিজের স্বার্থটি নিজে না দেখেন, তাহলে জীবনে কখনো ভালো থাকতে পারবেন না। সকলে সর্বদা আপনাকে ঠকিয়েই যাবে। নিজের স্বার্থ দেখার মাঝে দোষের কিচ্ছু নেই।
৭) নিজের স্বপ্নকে অনুসরণ করা
আমরা এমন একটা সমাজে বাস করি যেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের ওপরে চাপিয়ে দেয়া হয় অনাকাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা ও ইচ্ছার বোঝা। মা-বাবা সন্তানের ওপরে নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দেন, স্বামী তাঁর স্ত্রীর ওপরে দেন। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে শ্বশুরবাড়ি পর্যন্ত কোথাও যেন নিজের ইচ্ছা ও স্বপ্নের মূল্য নেই। একটা কথা মনে রাখবেন, একটাই জীবন আর একবার মৃত্যু হলে আর ফিরে পাবেন না একে। তাই এই এক জীবনে নিজের স্বপ্নকে পূরণ করার চেষ্টা করা মোটেও দোষের কিছু নয়। অন্য কারো স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি বলে দুঃখী হবেন না কখনো, সেটা নিজের সাথে অবিচার করা হয়।