বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » বিবিধ » পুরনো চেহারায় ছাত্রলীগ

পুরনো চেহারায় ছাত্রলীগ 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  ফের পুরনো চেহারায় ফিরেছে ছাত্রলীগ। অতীতের মতো সংগঠনটির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আবার অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ তো নেই-ই, উপরন্তু ভেঙে পড়েছে নিয়মশৃঙ্খলা। ক্যাম্পাসগুলোতে শোনা যাচ্ছে অস্ত্রের ঝনঝনানি।ভয়ঙ্কর ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরতে পারছে না সরকার। হলের সিটবাণিজ্য, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিবাণিজ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁস, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ব্যবসায় ও প্রশিক্ষণ, টেন্ডার, অপহরণ, নারী লাঞ্ছনা, সন্ত্রাস থেকে শুরু করে সব ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আধিপত্য বিস্তারে নিজ সংগঠনের কর্মীদের হত্যা করতেও কুণ্ঠা বোধ করছেন না তারা। সাংবাদিক-শিক্ষক কেউই রেহাই পাচ্ছেন না তাদের হাত থেকে। ছাত্রলীগের নাম শুনলে মানুষ এখন আঁৎকে ওঠেন।

lig

প্রায়ই গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হচ্ছে সংগঠনটি। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে প্রাণ হারিয়েছেন সুমন চন্দ্র দাস নামে এক ছাত্র। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। একই দিনে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সিট বরাদ্দকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা আল আমীনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারে অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের সাথে কয়েক মাসেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে শতাধিক। এ কারণে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধও ছিল। ফলে বেড়েছে সেশনজট। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষাকার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিকের গায়ে এসিড নিেেপর মতো ভয়ঙ্কর অপরাধের ঘটনাও ঘটিয়েছেন সংগঠটির নেতারা। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, এসব ঘটনার কোনো বিচার হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের আধিপত্য চলছে বলে অভিযোগ করছে অন্যান্য ছাত্রসংগঠন। সম্প্রতি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে ছাত্রলীগের এক নেতার আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়টি সারা দেশে আলোচনার ঝড় তোলে। এর আগে ৩১ আগস্ট ঢাকায় ছাত্রসমাবেশ শেষে চট্টগ্রামে ফেরার পথে ট্রেন থেকে নিজেদের কর্মীকে হত্যা করে ছাত্রলীগ। সর্বশেষ গত সোমবার দলীয় কোন্দলের কারণে সিলেটে পূর্বনির্ধারিত জেলা কাউন্সিল করতে পারেনি ছাত্রলীগ। উল্টো সার্কিট হাউজে ভাঙচুর করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাজধানীর তিতুমীর কলেজেও কমিটি গঠন নিয়ে অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জগন্নাথ, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিপত্য বিস্তার করেছে ছাত্রলীগ। এসব ব্যাপারে দেশের সচেতন মহলে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ।

সূত্র মতে, দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন চলছে ভর্তির মওসুম। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই শুনতে পাচ্ছেন অস্ত্রের ঝনঝনানি। তাদের চোখের সামনেই ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা। এসব দেখে অভিভাবকমহলও উদ্বিগ্ন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে মারা গেছেন নয়জন। এদের মধ্যে ছাত্রলীগের কর্মী ও ব্যবসায়ীও রয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, শতাধিক উল্লেখযোগ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেই দায়ী করছেন সংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, বর্তমান কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় অধস্তনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
শাবিপ্রবিতে বন্দুকযুদ্ধ : সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সুমন চন্দ্র দাস নামে ছাত্রলীগের একজন বহিরাগত কর্মী। গুলিবিদ্ধ আরো কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ছাত্রলীগে দুই গ্রুপের অনুসারীদের মাঝে সংঘর্ষ ঘটলে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান সুমন চন্দ্র।
এর আগে গত মঙ্গলবার দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কমিটি গঠন নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে তিন মাস সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। এর আগের দিন সোমবার ঢাকা সরকারি মাদরসা-ই-আলিয়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়।
জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর গোপালগঞ্জে সংগঠনের কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন দুইজন। আহত হন আরো ১৩ জন। একই দিনে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হন ১১ জন।
অস্ত্র প্রশিক্ষণে ইবি ছাত্রলীগ : আগ্নেয়াস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ছাত্রলীগ! গত ৭ সেপ্টেম্বর রোববার কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুইজন নেতা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে পিস্তল ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। প্রশিক্ষণকালে ধারণ করা একটি ছবি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে আলোচনার শীর্ষে আসে ছাত্রলীগ।
জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা সজীবের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিণ নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক মতিয়ার রহমান। তার বাড়ি কুড়িগ্রামে। এ ধরনের আরো একটি ছবিতে দেখা যায় সজীবের কাছ থেকে প্রশিণ নিয়ে নাইন এমএম পিস্তল থেকে গুলি ছুড়ছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সাবেক শিক আজিজুর রহমান মামুন। বর্তমানে বিসিএস ক্যাডার (ইকোনমি) পদে কর্মরত। তার বাড়ি গাজীপুরে। ছবিগুলোতে সজীবের অস্ত্রবাহক ছাত্রলীগকর্মী সালাউদ্দিনকেও দেখা গেছে। তিনি ইবির আইন ও মুসলিম বিধান বিভাগের ২০১১-১২ শিাবর্ষের ছাত্র।
সংবাদ ছাপানোর পর ছাত্রলীগের দুইজনকে বহিষ্কারের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ডিপোতে হামলা চালিয়ে পাঁচটি বাস ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। শহরের কাস্টম মোড় এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ডিপোতে এ হামলা চালানো হয়। বহিষ্কারের ঘটনায় ছাত্রলীগ বাস ভাঙচুর করে বলে সেসময় জানিয়েছিলেন ইবি প্রক্টর ড. মাহববুর রহমান। এরপর ইবি ক্যাম্পাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
কমিটি গঠন নিয়ে ভাঙচুর : কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের একাংশ ৮ সেপ্টেম্বর সকালে কলেজের মূল ফটকে তালা দিয়ে ভেতরে আগুন জ্বালিয়ে বিােভ করে। ফলে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেননি শিার্থীরা। একপর্যায়ে কলেজের প্রবেশপথে টায়ারে আগুন জ্বালানো হলে পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এর আগে সোমবার কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে পদ বঞ্চিতরা মিছিল নিয়ে কলেজের গেটে সামনের সড়কে প্রায় অর্ধশত গাড়ি ভাঙচুর করেন।
একই দিনে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে পূর্ব ঘোষিত সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সিলেটের সার্কিট হাউজে ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গেছে। সেখানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
১৩ মাসে নিহত ৯ : অনুসন্ধানে জানা যায়, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ফের আসার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে ছাত্রলীগ। অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও প্রতিপক্ষ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে গত বছরের নভেম্বর থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছাত্রলীগের হাতে শিক্ষার্থীসহ নিহত হয়েছেন নয়জন।
চলতি বছরের ৩১ আগস্ট রাজধানীতে ছাত্রলীগের ছাত্রসমাবেশ ছিল। সারা দেশ থেকেই নেতাকর্মী এসেছিলেন ঢাকায়। সেই দিনই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ফেরার পথে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে হত্যা করা হয় নিজ সংগঠনের কর্মী তৌকিরকে। সমাবেশে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানালে একই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হলের ২৫ জন ছাত্রীকে রুমে তালাবন্ধ করে চালানো হয় নির্যাতন।
১৪ জুলাই যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিজদলের নেতাকর্মীদের উপর্যুপরি আঘাতে মারা যান নাঈমুল নামের একজন শিক্ষার্থী। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
৪ জুন মারা যান সিলেটের ওসমানি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা তাওহীদুল ইসলাম। তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন ছাত্রলীগের মেডিক্যাল কলেজ সভাপতি সৌমেন দে।
কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজে ছাত্র ভর্তিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা সালেহ আহমেদ রাসেল ও জহিরুল ইসলামের গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এই জেরে ২৯ মে প্রতিপক্ষের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান যুবলীগ নেতা ও ব্যবসায়ী আহসান হাবিব।
গত ৪ এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২৩০ নম্বর কক্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ছাত্রলীগ নেতা রুস্তম আলী আকন্দ। পাশের রুমের বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে সেই সময় পুলিশ জানিয়েছিল অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন রুস্তম।
এর আগে ৩ এপ্রিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্মম পিটুনিতে মারা যান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ময়মনসিংহ) ছাত্র সায়াদ ইবনে মোমতাজ। পরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে ১২ জানুয়ারি ছাত্রলীগের নির্মম আক্রমণে মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরনেতা মামনু। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলে আধিপত্য বিস্তার ও সিট দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল। গত বছরের ২৯ নভেম্বর ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন সাধারণ ছাত্র ফারুক।
ছাত্রলীগের যত অন্যায় কর্মকাণ্ড : হত্যাকাণ্ড ছাড়াও এ বছর ভর্তিবাণিজ্যে লিপ্ত ছিল ছাত্রলীগ। বিভিন্ন সরকারি কলেজে নিজেদের পছন্দ মতো শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কর্তৃপক্ষকে চাপ প্রয়োগ করে ছাত্রলীগ। এ বছর দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের ভর্তিবাণিজ্যের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধও হয়ে যায়। বন্ধ হওয়া কলেজগুলোর মধ্যে- নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, রংপুর কারমাইকেল কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ, ময়মনসিংস মমিনুন্নেছা কলেজ, বরিশাল সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ উল্লেখযোগ্য।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য : এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
তবে ছাত্রলীগের বন্ধুপ্রতীম ছাত্র সংগঠন ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু বলেন, ছাত্রলীগ আবার ভয়ঙ্কর অবস্থায় চলে এসেছে। এভাবে চলতে পারে না। ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই, দখলদারিত্ব ও টেন্ডারবাজি চর্চার কারণে ছাত্রলীগ অস্ত্রের রাজনীতি করে নিজেরা নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতে হলে এ ধরনের অস্ত্রের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone