বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » প্রযুক্তি » বর্ষসেরা আবিষ্কারের সেরা পঁচিশের তালিকায় মঙ্গলযান

বর্ষসেরা আবিষ্কারের সেরা পঁচিশের তালিকায় মঙ্গলযান 

mongol

প্রযুক্তি ডেস্কঃ  প্রথম বারের প্রচেষ্টাতেই লালগ্রহে মঙ্গলযানকে পৌঁছে দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। আর এ বার ইসরো-র সেই সাফল্যের মুকুটে যোগ হল নতুন পালক। আমেরিকার টাইম ম্যাগাজিনের বিচারে বর্ষসেরা আবিষ্কারের সেরা পঁচিশের তালিকায় স্থান পেল মঙ্গলযান। প্রথম চেষ্টাতেই সফল হওয়ায় ইসরোর এই মঙ্গল অভিযানকে কুর্নিশ করে টাইমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এর ফলে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে  নিজেদের আরও মেলে ধরতে সক্ষম হবে ভারত। ভারতের মঙ্গল অভিযানকে প্রযুক্তিগত সাফল্যের দুরন্ত নিদর্শন হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
গত বছর নভেম্বরে যাত্রা শুরু করে প্রায় ১১ মাস ধরে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছয় মঙ্গলযান। প্রথম বারেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এই প্রচেষ্টার সাফল্য নিয়ে সন্দিহান ছিল অনেক দেশই

mongol

অভিযানকে কটাক্ষও করা হয়েছে। মঙ্গলযান সম্পর্কে টাইম জানিয়েছে, ইসরোর আগে কোনও সংস্থা বা দেশই প্রথম বার মঙ্গল অভিযানে সাফল্য পায়নি। কিন্তু গত ২৪ সেপ্টেম্বর আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থাকে টপকে সেই বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছে ইসরো। এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে সফল মঙ্গল অভিযানের সম্মানও এসেছে ভারতের ঝুলিতে। মঙ্গলযানকে সুপারস্মার্ট মহাকাশযান আখ্যা দিয়েছে টাইম। প্রকল্পের জন্য স্বল্প ব্যয় নিয়েও ইসরোর প্রশংসা করা হয়েছে। মঙ্গল অভিযানে মোট খরচ হয়েছে ৪০০ কোটি চাকা। একটি হলিউড ফিল্মের বাজেটই এর থেকে বেশি থাকে। একাধিক অ্যাকাডেমি পুরস্কারজয়ী ‘গ্র্যাভিটি’র বাজেট ছিল প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। ইসরোর বিজ্ঞানীদের দাবি, সরল প্রযুক্তি এবং যন্ত্রের ব্যবহারের জন্যই প্রকল্পের খরচ এত কম রাখা সম্ভব হয়েছে। বলা হয়েছে, মঙ্গলে মিথেন ও ভূপৃষ্ঠের গঠনের অনুসন্ধানের মতো কাজের জন্য মাত্র পাঁচটি যন্ত্র মঙ্গলযানে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলযানের সঙ্গে বর্ষসেরার তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে আরও দুই ভারতীয়ের আবিষ্কার। সংশোধনাগারের একাকী বন্দিদের মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখার জন্য ‘ব্লু রুম’ আবিষ্কারের জন্য অরণ্য সংক্রান্ত বাস্তুতন্ত্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক নলিনী নাদকার্নী এবং শিশুদের জন্য ‘অসমো’ নামক একটি খেলনা ট্যাবলেটের জন্য গুগলের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়র প্রমোদ শর্মা।
সংশোধরাগারে একাকী বন্দী থাকার সময় একজন বন্দী ছোট একটা ছাদ,সাদা দেওয়াল ছাড়া কিছুই দেখতে পান না। এরফলে তাঁরা অবসাদে ভুগতে থাকেন এবং তাঁদের আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়। এই একঘেঁয়েমি থেকে মুক্তির জন্য ব্লু রুম। এর মাধ্যমে একটি প্রোজেক্টরের মাধ্যমে দেখা যায় প্রকৃতির বিভিন্ন দৃশ্য।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone