এবার হবু বাবারাও বুঝবে প্রসব যন্ত্রণা!
ডেস্ক রিপোর্টঃ দশ মাস সন্তান পেটে ধারণ করে তীব্র প্রসব যন্ত্রণা সহ্য করে শিশুকে পৃথিবীর আলোর মুখ দেখান বলেই মায়ের এতো মর্যাদা। কিন্তু সমান অধিকারের প্রশ্নে এই যন্ত্রণার ভারও পুরুষদের সমানভাবে সহ্য করার দাবি উঠছে।এই সমতা দাবি থেকেই সম্প্রতি উত্তর চিনের একটি হাসপাতাল এক বিশেষ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছেন যাতে পুরুষও অনুভব করবে ‘প্রসব যন্ত্রণা’
এর জন্য সানডঙের আইমা মেটারনিটি হসপিটাল সপ্তাহে দু’দিন বিশেষ পরীক্ষা চালিয়েছিল ১০০ পুরুষের ওপর। এদের অধিকাংশই হবু বাবা। তারা ছাড়াও টেস্ট সেশনে অনেকে ছিলেন যারা শুধুই অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য এসেছিলেন।কৌশলটি হলো- পরীক্ষার আগে প্যাডে বিশেষ ধরনের একটি যন্ত্র লাগিয়ে তলপেটে আটকে দেয়া হয়। এর থেকে তৈরি বৈদ্যুতিক শক তলপেটে ছড়িয়ে পড়ে। এবং এই যন্ত্রণা ১০ ধাপ পর্যন্ত বাড়িয়ে পাঁচ মিনিট রাখা হয়। যদিও উপস্থিত নার্সের মতে, প্রকৃত প্রসব যন্ত্রণা এভাবে অনুভব করা সম্ভব নয়।যে ১০০ জন পুরুষ এই বিশেষ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন সং সিলিং তাদের একজন। তার বান্ধবী যখন সন্তানের জন্ম দিচ্ছিলেন তখন তিনিও এই টেস্ট সেশন করান।অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে সিলিং বলেন, ‘মনে হচ্ছিল, ফুসফুস আর হৃৎপিণ্ড যেন যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাবে।’ তিনি সাত ধাপ পর্যন্ত গিয়ে আর সহ্য করতে পারেননি। অন্যরা মাত্র এক মিনিট যন্ত্রণা সহ্য করতে পেরেছেন। লু ডেজু জানিয়েছেন, পরীক্ষার মাধ্যমে পুরুষ এই যন্ত্রণা উপলব্ধি করতে পারলে স্ত্রীর প্রতি আরও বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠবেন।ইউ জিয়ানলং টেস্ট সেশনের দশম অর্থাৎ শেষ ধাপ পর্যন্ত শক নিয়েছেন। প্রথমদিকে তিনি যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠলেও শেষ ধাপ অবধি পৌঁছান। তার স্ত্রী বর্তমানে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।